শনিবার কবি, সমাজকর্মী কামিনী রায়ের ১৫৫ তম জন্মদিন ৷ ডুডলে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য গুগলের। ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বাকেরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্ম তাঁর। ১৮৮৬ সালে ভারতের প্রথম নারী হিসাবে সংস্কৃত ভাষায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ৷ বাঙালি কবি কামিনী রায় একজন সমাজকর্মীও ছিলেন ৷ অঙ্কে তাঁর আগ্রহ থাকলেও অনেক ছোটো বয়স থেকেই কবিতা লিখতে শুরু করেন তিনি ৷
বেথুন কলেজে পড়ার সময়েই অবলা বসুর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল কামিনী দেবীর ৷ তাঁরা দু’জন একসঙ্গে তৎকালীন ভারতবর্ষে নারী অধিকার নিয়ে তৎপর হন ৷ দেশের নারী শিক্ষায় তাঁর অবদান রয়েছে ৷ বিধবা মহিলাদের জীবনযাপনের অধিকার নিয়েও লড়াই করেছিলেন তাঁরা ৷
গুগলের তথ্য অনুযায়ী , বেথুন কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি সেই কলেজেই অধ্যাপনা শুরু করেন ৷ ১৮৮৯ সালে তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হয়। বিশ্বে সেই সময় নারীবাদের প্রথম তরঙ্গের আন্দোলন চলছে ৷ কামিনী রায় ভারতে নারীবাদী আন্দোলনকে একটি পথ দেখান ৷ নারী অধিকারের জন্য লড়াই শুরু করেন ৷ নারীশিক্ষা তৎকালীন ভারতবর্ষে নারী অধিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৷ তিনি একবার লেখেন , নারীরা কেন সমাজে নিজের ন্যায্য অধিকার বুঝে নেবেন না? তাঁদের পরিসর শুধুই ঘরে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন?
নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ নারীদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছিল ৷ ১৯২৬ সালে ভারতে নারীদের ভোটাধিকার অর্জন করতে সাহায্য করেন কামিনী দেবী ৷ সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ১৯২৯ সালে জগত্তারিণী পদক দেওয়া হয় ৷
Be the first to comment