কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে বাড়ছে জল্পনা, দেখা রাহুলের সঙ্গে

Spread the love

কংগ্রেসে নাম লেখানোর জমি নাকি পাকা করছেন কানহাইয়া কুমার ৷ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেবেন জেএনইউ-এর এই প্রাক্তন ছাত্র নেতা ৷ এদিকে, গত দু’বছরে গেরুয়া দাপটে কংগ্রেসের হাত ছেড়েছেন বহু তরুণ তুর্কী ৷ যাঁরা এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন, নবীন বনাম প্রবীণের লড়াইয়ে তাঁরাও আজ কোণঠাসা ৷

এই অবস্থায় কানহাইয়া যদি কংগ্রেসে যোগ দেন, তাতে কংগ্রেসের ভিত কিছুটা হলেও পোক্ত হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷ কারণ, কানহাইয়া নিজে তরুণ নেতা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় ৷ তিনি খুব ভাল বক্তাও ৷ আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ-সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে বিধানসভার ভোট রয়েছে ৷ কানহাইয়ার ক্য়ারিশমা সেইসব জায়গায় কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার হতেই পারে ৷

কানহাইয়ার পাশাপাশি জল্পনা শুরু হয়েছে আরও এক তরুণ তুর্কীকে নিয়েও ৷ তিনি গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানি। সূত্রের খবর, তলায় তলায় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, গুজরাতের গত বিধানসভা নির্বাচনে জিগনেশের জয় নিশ্চিত করতেই বানসকান্থা জেলার ভাদগাঁও আসনে কোনও প্রার্থী দাঁড় করায়নি কংগ্রেস ৷

কানহাইয়া কুমারের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিআই-এর অন্দরে নাকি ‘দমবন্ধ’ হয়ে যাচ্ছে তাঁর ৷ আর সেই কারণেই গত মঙ্গলবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি ৷ কীভাবে কংগ্রেসে যোগদান করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে ৷ এই বিষয়ে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কানহাইয়াকে নিয়ে শুধুমাত্র নানা জল্পনাই শুনেছেন তিনি ৷ তার বেশি কিছু জানেন না ৷ প্রবীণ নেতার কথায়, ‘‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে চলতি মাসের গোড়ায় আমাদের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে তিনি (কানহাইয়া কুমার) উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি নিজের বক্তব্যও রেখেছেন এবং অন্য নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন ৷’’

তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কানহাইয়া নিজে কিছুই বলেননি ৷ যদিও কংগ্রেসের একাংশ মনে করছেন, বিহারের রাজনীতিতে কানহাইয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন ৷ প্রসঙ্গত, গত প্রায় তিন দশক ধরে বিহারের রাজনীতিতে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারছে না জাতীয় কংগ্রেস ৷ এমনকী, গত বিধানসভা নির্বাচনেও বিহারে দলের ফল হয়েছিল শোচনীয় ৷ বরং তাদের জোটসঙ্গী আরজেডি এবং সিপিআই (এমএল) তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল ফল করেছিল ৷ যে ৭০টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থীরা লড়াই করেছিলেন, তার মধ্যে মাত্র ১৯টিতেই বিজয় পতাকা তুলতে পেরেছেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে, রাজ্য়ে মোট আসনের প্রায় অর্ধেকই নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সক্ষম হয় আরজেডি ৷ আর সিপিআই (এমএল) ১৯টি আসনে লড়াই করে জিতে নেয় ১২টি ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*