বিতর্ক থামছে না কাঁথিতে। সেই পুরভোটের টিকিট থেকে শুরু হয়েছে। এরপর নির্বাচন শেষ হয়ে ফল ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। রাজনৈতিক কোন্দল, বিতর্ক, সব বিষয়ে নিজেদের এগিয়ে রেখেছে এই শহর। সদ্য শেষ হওয়া কাঁথি পুর নির্বাচনে নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। বিজেপি এই ভোটে লুঠ-ছাপ্পা, রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। যা এখন বিচারাধীন। ঘাসফুল শিবিরের জেতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়ে রয়েছে। আর সেই বিতর্কে নব সংযোজন হল কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তিন কাউন্সিলরকে বসেই শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন মহকুমা শাসক।
বিজেপির অভিযোগ, গত ১৬ মার্চ কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান মহকুমা শাসক। শাসক দলের যাঁরা জিতেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই অনুষ্ঠানে রীতি মেনে দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। এবং মহকুমা শাসকও তাঁদের দাঁড়িয়েই বাক্য পাঠ করিয়েছেন। তবে ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারেনি বিজেপির তিন জয়ী প্রার্থী। তাঁদের একজন হলেন ১০ নম্বরের বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, ১৭ নম্বরের তাপস দলাই, ও ১৮ নম্বরের ওয়ার্ডের সুশীল দাস। পরে মহকুমা শাসকের দেওয়া সময় ও দিন মেনে তাঁরা শপথ বাক্য পাঠ করেন।
২৯ মার্চ আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি বিজেপির এই তিন জয়ী প্রার্থীকে ডাকেন। শাসক দফতরে উপস্থিত হয়ে তিন বিজেপি কাউন্সিলর শপথ বাক্য পাঠ করেন। আর এই খানেই বিতর্ক শুরু হয়। সামাজিক মাধ্যম গুলিতে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায় গেরুয়া তিন প্রার্থী দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করছেন এবং মাননীয় মহকুমা শাসক মহাশয় বসেই সেই বাক্য পাঠ করাচ্ছেন। আর এতেই শুরু বিতর্ক।
দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপ কুমার দাস প্রশ্ন তোলেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সহ সাংবিধানিক প্রধানদের কাছে এই ভাবে বসে কি শপথ বাক্য পাঠ করানো যায় ? যদিও দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস বলেন, “রাজ্যের বিধানসভা হোক বা রাজ্য সভা, লোকসভা হোক বা মন্ত্রীসভা সকল জায়গায়তেই শপথ বাক্য দাঁড়িয়ে সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যমে হয়। কাঁথি পৌরসভায় শাসকদল থেকে নির্দল সকলকেই দাঁড়িয়ে পড়ান, অথচ আমাদের বেলায় সেই সৌজন্য দেখা যায়নি মহকুমা শাসকের কাছে।” যদিও এই বিতর্কিত বিষয়ে কাঁথির মহকুমা শাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Be the first to comment