বাঘের হানায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানালেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন তিনি। এই বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষমদ কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।
ঠিক সেভাবেই অভাবের তাড়নায় থাকা এই পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করুন। পেটের তাগিদে জঙ্গলের বিভিন্ন নদীখাঁড়িতে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বা মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের পেটে গিয়েছেন অনেকেই। সুন্দরবনের বাসিন্দারা বলছেন, আমফানের পর বাঘের আনাগোনা আরও বেড়ে গিয়েছে। দুদিন আগেই কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের কবলে পড়েছেন এক মৎস্যজীবী।
সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত পিরখালি ১ নম্বর জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম মনোহর মণ্ডল(৬৫)। স্থানীরা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে তিন সঙ্গীকে সঙ্গে করে সুন্দরবনের পিরখালি ১ নম্বর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন মনোহর মণ্ডল।
গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোস্টাল থানার লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জেমসপুর গ্রামের বাসিন্দা এই মৎস্যজীবীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী মৎস্যজীবী গৌর মণ্ডল, কবিতা মণ্ডল, নমিতা মণ্ডল। মনোহরের সঙ্গীর জানিয়েছেন সেদিন সকাল ৭টা নাগাদ নদীখাঁড়ির মধ্যে ডিঙি নৌকাটি নোঙর করে কাঁকড়া ধরছিলেন তাঁরা। আচমকাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে একটি বাঘ। হকচকিয়ে যান সকলেই।
কিছু বোঝার আগেই মনোহরের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বাঘটি। গত দু সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকজনের বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার সেইসব পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে ১৫ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য এবং এক মাসের রেশন দিয়েছেন কান্তিবাবু। তবে বন দফতরের দাবি, যাঁদের বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁরা গভীর জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। গ্রামে বাঘ ঢোকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
Be the first to comment