পেমেন্ট নেওয়া হয়েছিল সাত কোটি। বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল কলকাতার একটি উচ্চবিত্ত আবাসনের তিনটি ফ্লোর। কিন্তু মাপে ছিল বিস্তর গরমিল। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে জোটে হুমকি। এ পরই কড়েয়া থানার দ্বারস্থ হন ক্রেতা। অভিযোগ পেয়ে ওই আবাসনের প্রোমোটারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কড়েয়া থানা এলাকার ৫৪ নম্বর সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে কোহলি ম্যানশন। আবাসনটির মালিক জগজিৎ সিং কোহলি এবং গুরসন সিং কোহলি। অন্য অভিযুক্ত ওই আবাসনের তিনতলার প্রোমোটার- ডেভলপার সঞ্জয় বারিয়াল। তিনি আবার মার্চেন্ট অব চেটকি প্রপার্টিজ় নামে এক প্রোমোটিং সংস্থার ডিরেক্টর। অভিযোগকারীর দাবি, কোহলি ম্যানশনের ২, ৩ এবং ৪ তলা কেনা নিয়ে ওই তিনজনের সঙ্গে চুক্তি হয়। তাতে পরিষ্কার লেখা ছিল, স্কয়্যার ফুটের হিসেব। কিন্তু পরে তিনি দেখেন, সেই হিসেবে বিস্তর গলদ। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে যোগাযোগ করেন অভিযুক্ত তিনজনের সঙ্গে। অভিযোগ, কথা বলতে গেলে জোটে হুমকি। এরপরই ২৩ এবং ২৫ জুন কড়েয়া থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ক্রেতা।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তিন অভিযুক্তকেই তদন্ত স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠান তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’বার নোটিশ পেয়ে দেখা করতে আসেন অভিযুক্তরা। অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করেননি কেউই। তৃতীয় বার নোটিশ পাঠায় পুলিশ। এবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আসেননি জগজিৎ এবং গুরসন। তবে আসেন সঞ্জয়। এবার কিছুটা মুখ খোলেন তিনি। তদন্তকারী অফিসার ইতিমধ্যেই জোগাড় করে রেখেছিলেন বেশকিছু তথ্য। সেই সূত্রেই গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে। তাকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি।
Be the first to comment