দ্রুতগতিই কাল হলো। মাঝরাস্তাতেই উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের তুমকুরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে আটজনের, গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। জানা গিয়েছে, বাসে মোট ৬০ জন যাত্রী ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুমকুর জেলার পাভাগাডায় একটি বাস এদিন সকালে উল্টে যায়। বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীর তুলনায় অনেক বেশি যাত্রী সংখ্যা হওয়ায়, বাসটি টাল সামলাতে পারেনি। ফলে ব্রেক কষতেই বাসটি সম্পূর্ণ পাক খেয়ে উল্টে যায়।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তারাই উদ্ধারকার্য শুরু করেন। এরপর পুলিশ-প্রশাসনেও খবর দেওয়া হয়। তারা এসে উদ্ধারকার্য শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বাস কমপক্ষে ৬০ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। সাতসকালেই ফাঁকা রাস্তায় রেষারেষি করছিল যাত্রীবোঝাই বাসটি। আচমকাই বাসটি ব্রেক কষে, টাল সামলাতে না পেরে উল্টে যায় বাসটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসের গেটেও যাত্রী ঝুলছিল। দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছিল বাসটি। আচমকাই কোনও কারণে ব্রেক কষে বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যায় বাসটি। গেটের সামনে যারা ঝুলছিলেন, তারা ছিটকে রাস্তায় পড়েন। অনেকে বাসের নীচেও চাপা পড়ে যান। ভিতরে থাকা যাত্রীদের দেহও তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। দরজা-জানলা কেটে বের করা হচ্ছে দেহগুলিকে।
এখনও অবধি ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২০ জন যাত্রী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Be the first to comment