রাগের চোটে বন্ধুর মাথাই কেটেই দিলেন কর্ণাটকের এক ব্যক্তি। তারপর সেই কাটা মুণ্ডু নিয়েই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি।
এমন ঘটনাই ঘটেছে কর্নাটকের মান্ড্য জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, পশুপতি নামের এক ব্যক্তি মাথা কেটে দিয়েছেন তাঁর বন্ধু গিরীশের। কিন্তু বন্ধুর উপর কীসের এত রাগ? পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণ করার পর পশুপতি অভিযোগ করেছেন, গিরীশ তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছিল। চেষ্টা করেছিল যৌন হেনস্থা করার। আর সেই কারণেই গিরীশের মাথা কেটে দিয়েছেন তিনি।
গত এক মাসে এই নিয়ে এমন তিনটি ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকে। গত বৃহস্পতিবার আজিজ খান নামের এক ব্যক্তি এক মহিলার কাটা মুণ্ডু নিয়ে হাজির হয়েছিলেন থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শ্রীনিবাসপুরের বাসিন্দা আজিজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। চলতি মাসের শুরুতেই চিকামাঙ্গালুরু থানায় হাজির হয়েছিলেন আর এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গেও ছিল এক মহিলার কাটা মুন্ডু। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ছিল সতীশ। তিনি তাঁর স্ত্রীকে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। তাই শাস্তি স্বরূপ নিজের স্ত্রী’র মাথা কেটে দিয়েছেন সতীশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রায় ২০ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সতীশ। ব্যাগের ভিতরে করে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। এবং কোনও অনুতাপও ছিল না সতীশের। বরং আক্ষেপ ছিল যে স্ত্রী’র প্রেমিককে মারতে পারেননি।
Be the first to comment