অন্নভোগে ছিল বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান। ফরেন্সিক পরীক্ষায় এমনই প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করল কর্নাটক সরকার। চামরাজনগর জেলায় কিচু মারান্ডা মন্দিরের প্রসাদে বিষক্রিয়ার ঘটনায় গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ১২৫ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিযেছেন, প্রসাদের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে মোনোক্রোটোফোস ও অরগ্যানোফসফেট নামে দু’টি রাসায়নিকের খোঁজ মিলেছে। এই দুই রাসায়নিক উপাদান মানুষের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। প্রসাদের মধ্যে এমন উপাদান কী ভাবে এল সেটাই রহস্য।
গত শুক্রবার সকালে সকালে মন্দিরে ঢালাও ভোগ প্রসাদের আয়োজন হয়েছিল। অন্নভোগ খাওয়ার পর থেকেই বমি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় অনেক ভক্তদের। মন্দির চত্বরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন অনেকে। এলাকার বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বেঙ্গালুরু ও মাইসোরের নানা হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। প্রথমে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিললেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪।
উপমুখ্যমন্ত্রী পরমেশ্বরের কথায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে, স্থানীয় ও মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরপাকড় শুরু হওয়ার পরই কয়েকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আগামী তিনদিনের মধ্যেই অপরাধীদের ধরে ফেলা যাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, মৃতদের মধ্যে দু’জন শিশু। এখনও ১৫ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। সোমবার রাতে মৃত্য হয়েছে মল্লি বাই নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলার।
প্রসাদে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবে বিষ মেশানো হয়েছিল, এই ঘটনার পিছনে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেন, “এই অপরাধের ক্ষমা হয় না। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
Be the first to comment