মায়ের ছিল এই ‘গুণ’, কসবায় নিহত শীলা চৌধুরীর অন্ত্যেষ্টির ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বললেন ছেলে

Spread the love
প্রতীকী ছবি,
একমাত্র ছেলে ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়াশোনা করেন। মা খুন হয়েছেন, সেকথা এক আত্মীয়ের ফোনেই জানতে পেরেছেন। তবুও তিনি নিরুত্তাপ। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেও দেশে ফিরতে চাইলেন না  কসবার মৃত মহিলা অফিসার শীলা চৌধুরীর ছেলে। মায়ের অন্ত্যেষ্টির ছবি মোবাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠিয়ে দিতে বললেন আত্মীয়কে।
কসবায় মহিলা অফিসার খুনের কিনারা করেছে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাফাইকর্মী শম্ভু কয়ালকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শম্ভুর সঙ্গে শীলার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। শীলার স্বামীর মৃত্যু হয়ছে কয়েক বছর আগেই। শুধু শম্ভুই নয়, একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শীলার। শীলা চৌধুরীকে ২৭ হাজার টাকা ধার দেয় শম্ভু। ধারের টাকা না ফেরত পাওয়াতেই শীলাকে খুন করা বলে জেরায় স্বীকার করেছে শম্ভু।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় শম্ভু জানিয়েছে, তার কাছ থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা ধার নিতেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনায় অ্যাটলাস অ্যান্ড থেম্যাটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশনের আধিকারিক  শীলা চৌধুরী। পরিচিত এক আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধার দেয় শম্ভু।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট আনার কথা ছিল শম্ভু। রেজাল্ট না এনে দিনভর শীলা চৌধুরীর বাড়িতেই ছিল শম্ভু। ঘটনার দিন শম্ভুকে মাসাজ করে দিতে বলেন শীলা। কিন্তু সেসময় শীলার কাছে টাকা ফেরত চায় শম্ভু। তখনই বচসা হয়। অভিযোগ, শীলাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে শম্ভু। এরপর, তাঁর আলমারি থেকে ৭০০০ টাকা নেয় সে। টাকা নিলেও নেয়নি মহিলার গয়না। নিজের এক আত্মীয়ের কাছে সেই টাকা রেখেছিল শম্ভু। সেই আত্মীয়ের খোঁজে শম্ভুকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*