ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরও কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। কাশ্মীর ঘুরে এসে একথাই বললেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সদস্য নিকোলাস ফেস্ট। ইইউ বেসরকারি প্রতিনিধিদের কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি ঘিরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস, বাম সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিদেশিদের ছাড়পত্র দেওয়া হলে কেন তাদের আটকানো হয়েছিল? প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। ফেস্টের মন্তব্য বিরোধীদের দাবিই মান্যতা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
কাশ্মীর ঘুরে এসে ফেস্ট বলেন, আমি মনে করি আপনি যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্যদের ভূস্বর্গে যাওয়ার অনুমতি দেন তবে দেশের বিরোধী রাজনীতিবিদদেরও সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া উচিত। উপত্যকায় কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। সরকারের সেগুলো দেখা উচিত।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন কাশ্মীর ঘুরে আসা ২৩ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সদস্য ফেস্ট।
এদিনই উপত্যকা থেকে দিল্লি ফেরেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তারপরই তারা বলেন, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারে বারেই এই দাবি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে সেই দাবি ভাঙা হয়েছে। জানিয়েছিল ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু, কাশ্মীর ঘুরে এসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যা বললেন, তাতে স্বস্তিতে মোদী সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৭০ ধারা বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা ভারতীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকালই শ্রীনগরে গিয়েছিলেন ২৩ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিনিধিদল। সেখানে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভূস্বর্গে কেন ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হল? সরকারের তরফে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকে তা বোঝানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব ও ডিজি।
কাশ্মীরে উন্নয়নের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা যেন আফগানিস্থান হয়ে না যায়। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ব্রিটেনের নিউটন দান বলেন, গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি কেন ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হলেই কাশ্মীর শান্তিপ্রিয় রাজ্য হয়ে যাবে। সন্দ্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাশে থাকবে।
কাশ্মীর ইস্যুতে নয়া দিল্লির পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বহু সংবাদ মাধ্যমেই সমালোচনা করেছে। পোল্যান্ত থেকে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের কথায়, এখানে এসে লক্ষ্য করলাম সংবাদ মাধ্যম পক্ষপাতমূলক খবর করেছে। পুরো বিষয়টি গিয়ে আমি দেশে তুলে ধরবো। ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে কাশ্মীরে আগামীদিনে উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।
Be the first to comment