কাশ্মীর ঘুরে ৩৭০ বাতিলের প্রয়োজনীয়তা বোঝাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা

Spread the love

জম্মু কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের দাবি, এই পদক্ষেপের জেরে লাভবান হবেন উপত্যকার বাসিন্দারা। ভূস্বর্গে উন্নয়নের জোয়ার বইবে। নতুন-নতুন বিনিয়োগ আসবে জম্মু কাশ্মীরে। কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাসে আমল দিতে নারাজ কাশ্মীরের বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বাসিন্দাদের একাংশও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে অখুশি। এবার তাই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ৩৭০ ধারা বাতিলের উপকারিতা বোঝাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

৩৭০ ধারা বাতিলের উপকারিতা বোঝাতে ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাচ্ছেন কাশ্মীরে। ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ভূস্বর্গে কেন ৩৭০ ধারা বাতিলের দরকার ছিল তা তাঁরা বোঝাবেন বাসিন্দাদের।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগেই মূলত মন্ত্রীদের এই সফর ঠিক হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমকে একটি চিঠি লিখে বুধবার ৩৬ জন মন্ত্রীর কাশ্মীরের সফরের বিষয়টি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চাইছেন, মন্ত্রিসভার সব সদস্য জম্মু-কাশ্মীরে যাবেন। কাশ্মীরের কোন কোন ক্ষেত্রে এখনই উন্নয়ন প্রয়োজন তা মন্ত্রীরা সরেজমিনে ঘুরে দেখবেন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলবেন মন্ত্রীরা। বাসিন্দাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জম্মু কাশ্মীর সফর নিয়ে ১৭ জানুয়ারি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই কাশ্মীর সফরের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্র। একই সঙ্গে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে অভিযোগ করেছেন ভূস্বর্গের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা। কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের জেরে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়ে ফেলে সরকার। উপত্যকায় সব সভা-মিছি-জমায়েতে নিষেধ্জ্ঞা জারি করা হয়। একটানা কয়েকদিন কার্ফু জারি করে রাখা হয়। একের পর এক রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ভূস্বর্গ জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট, কেবল টিভি পরিষেবা। একটানা বেশ কয়েকমাস ধরে চলে এই ব্যবস্থা।

বর্তমানে জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিকের দিকে। চালু হয়েছে ইন্টারনেট, কেবল পরিষেবা। তবে এখনও গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাননি একাধিক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে ক্রমশই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*