বিশেষ প্রতিনিধি,
স্তম্ভিত সেনা৷ একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, তা রীতিমতো চমকে দিয়েছে সেনাকে৷ রিপোর্ট বলছে ২০১৮ সালে প্রায় ৪৫ জন যুবক জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে৷ এদের মধ্যে রয়েছে এমবিএ এবং পিএইচডি করা যুবকরাও৷ চলতি বছরের শুরু থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, যা স্তম্ভিত করে দিয়েছে সেনাকে৷
তবে এই রিপোর্টকে অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া বলে জানাচ্ছে সেনা৷ রিপোর্টকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ উত্তর কাশ্মীরের হান্ডওয়াড়া, কুপওয়াড়া, বান্দিপোরা, সোপোর ও শ্রীনগর থেকেও দু-একজন করে যুবক জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ৷ কারণ বেশ কয়েক মাস এই যুবকরা নিখোঁজ৷ তাই সেনার অনুমান এই সব যুবকরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে গোপনে৷
এই ৪৫ জনের মধ্যে বেশিরভাগই এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান ও কুলগাম থেকে৷ প্রায় ১২ জন সোপিয়ানের বাসিন্দা ও কুলগামের বাসিন্দা ৯ জন৷ এছাড়াও দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে এই যুবকরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ সাত জন এসেছে অনন্তনাগ থেকে, চারজন পুলওয়ামা জেলা থেকে ও অবন্তীপুরা থেকে এসেছে তিনজন৷ যদিও শেষ পাওয়া খবরে পুলওয়ামা থেকে আরও তিনজন যোগ দিয়েছে বলে খবর৷ শুধু দক্ষিণ কাশ্মীরই নয়,
কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা বছর ২৬-এর যুবক জুনেইদ আশরাফ সেহরাই রয়েছে এই দলে৷ জুনেইদের বাবা হল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তেহরিক ই হুরিয়তের প্রধান৷
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রীধারী মান্নান বশিরও এই তালিকায় রয়েছে৷ কুপওয়ারার বাসিন্দা মান্নানের বয়স ২৬ বছর৷
গোটা ঘটনায় সরব হয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা৷ তাঁর মতে বর্তমান পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী৷ তাদের অসফল নীতি যুবকদের এই পথে ঠেলে দিচ্ছে৷
Be the first to comment