তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। আর তারপরও কোথাও কোথাও জারি থাকবে লকডাউন। সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, ভারতে এখনও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখছে তেলেঙ্গানা।
মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর মঙ্গলবার একথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ৬টি জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি হল সূর্যাপেট, গাদোয়াল, রাঙ্গারেডঋই, হায়দরাবাদ, মেদচল ও ভিকারাবাদ। এর মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা মেদচল ও হায়দরাবাদের। ৬৬ শতাংশ আক্রান্ত ওই দুই জায়গাতেই।
এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় করপোনা আক্রান্ত ১০৯৬ জন। এর মধ্যে ৬২৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত ১৯৫ জন এবং সংক্রমিত ৩,৯০০ জন।
মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬, ৪৩৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৬৮ জনের। এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ১২,৭২৭ জন। বেড়েছে সুস্থতার হার যা বর্তমানে ২৭.৪ শতাংশ, তেমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তৃতীয় দফার লকডাউনে দেশের অনেকাংশে বিধিনিষেধ বেশকিছুটা হালকা হয়েছে। মার্চ ২৫ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের তৃতীয়দফার দ্বিতীয়দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এবং মৃত্যু সামনে এসেছে। সোমবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত ২৫৫৩ জন।
অন্যদিকে, গাজিয়াবাদেও ৩১ মে পর্যন্ত ওই অর্ডার অনুযায়ী, পাবলিক প্লেসে থুতু ফেলা যাবে না। ফেললে জরিমানা নেওয়া হবে। মুখে ঢাকা না দিয়ে বাইরে বেরলে, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সব ধর্মীয় স্থান বন্ধ থাকবে। কোনও জায়গায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত চলবে না। কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও স্পোর্টস প্রোগ্রাম করা যাবে না। ৩১ মে পর্যন্ত কোনও র্যালি হবে না। বিয়ে বা শেষকৃত্যধের জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।
জরুরি কাজের ক্ষেত্রে সকাল ৭ টা থেকে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত বেরনো যাবে। ৬৫ বছরের উর্দ্ধে ও ১০ বছরের নীচে কেউ বাড়ি থেকে বেরবে না। গর্ভবতী মহিলারাও বেরতে পারবেন না। সেলুন, স্পা, সিনেমা, মল, জিম বন্ধ। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
Be the first to comment