বিশেষ প্রতিনিধি,
ছ’মাস পর খোলা হল কেদারনাথের মন্দির৷ অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও বিদ্যুত, জল, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি ঠিক মতো যাতে দর্শনার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় তা সুনিশ্চিত করেছেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্রর সিং৷ এছাড়া মন্দিরে যাওয়ার পথে যাতে এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷
মহাশিবরাত্রির পূণ্যলগ্নে রবিবার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল মন্দিরের দরজা৷ এদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ধর্মীয় পূজাপাঠ ও মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে শুরু হয় মন্দির খোলার প্রস্তুতি৷ এরপর বিপুল ভক্তদের উপস্থিতিতে খোলা হয় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা৷
কথিত আছে মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল পাণ্ডবদের হাত ধরে৷ কেদারনাথ হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান৷ এটি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম পঞ্চকেদারের মধ্যমণি৷ ভারত ছাড়িয়ে সারা বিশ্বের উত্তরাখণ্ডের চারধাম প্রসিদ্ধ। এই চারটি ধাম হল, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ হাজার ৭৫৫ ফুট উঁচুতে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই চারটি ধাম। প্রতি বছরই লক্ষাধিক পুণ্যার্থী এই চারধামে তীর্থ করতে আসেন৷
প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার সময় খোলা হয় কেদারনাথ মন্দির৷ এরপর দীপাবলীতে বন্ধ হয় মন্দিরের দরজা৷ তীব্র শীতের জন্যই মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে৷ শীতকালে কেদারনাথ মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ছ’মাসের জন্য উখি মঠে নিয়ে গিয়ে পূজা করা হয়৷
Be the first to comment