বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। দিল্লির রামলীলা ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। ওই অনুষ্ঠানে খোলা আমন্ত্রণ থাকছে দিল্লির সব আম আদমির জন্য। ওই মঞ্চকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা হবে না।
আম আদমি পার্টির দিল্লি ইউনিটের আহ্বায়ক তথা দিল্লির প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী গোপাল রাই এ কথা জানিয়েছেন। পরে আপের এক মুখপাত্র জানান, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে নিচু তারে বাঁধা হবে। উদযাপন নিয়ে কোনও আতিশয্য করা হবে না।
আপ সূত্রে বলা হচ্ছে, ভোটের ফল ঘোষণার পরই দলের অনেকে আবেগে ভেসে বলতে শুরু করেছিলেন যে ১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু ১৪ তারিখ শুক্রবার। জুম্মাবারে পুরনো দিল্লিতে এমনিতেই ভিড় থাকে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করলে তাতে ওই দিন মানুষের আরও অসুবিধা হতে পারত। সেই কারণে ছুটির দিন রবিবার তথা ১৬ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন স্থির করা হয়।
আপের ওই মুখপাত্র ঘরোয়া আলোচনায় এও বলেন, যেহেতু অরবিন্দের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভাল তাই তৃণমূলের নেতারা হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সঙ্গে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন এবং আপের সঙ্গে বন্ধু ভাবাপন্ন দলের নেতা বা মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে আম আদমি পার্টির মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
দলের অনেকে মনে করেন, আপের জয়কে এই সব আঞ্চলিক নেতারা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে মানুষের রায় বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও সেই বার্তা দিতে পারেন। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অবস্থান হল তাঁর সুশাসনের কারণেই উপুরহস্ত হয়ে ভোট দিয়েছেন মানুষ। তিনি সংখ্যাগুরু ভাবাবেগকেও কোনও ভাবে আঘাত করতে চান না। সেই কারণেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কেবল দিল্লির জনতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Be the first to comment