দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। কেজরি প্রশাসনের হাতে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে সাহায্য চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লিখেছেন, ‘আমি সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে আবেদন জানাচ্ছি কোনও রাজ্যের হাতে অতিরিক্ত অক্সিজেন থাকলে তা দিল্লিকে দিন। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের সাহায্য করছে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে যা পরিকাঠামো রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেজরিওয়াল এই বক্তব্য এমন দিনে রেখেছেন, যেদিন দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে ২০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে। হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন,’সরকার থেকে আমাদের ৩.৫ মেট্রিকটন অক্সিজেন বরাদ্দ করেছিল। শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে অক্সিজেন আসার কথা ছিল। কিন্তু তা পৌঁছায় মধ্যরাতে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন করোনা রোগীর।’
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে এই মুহূর্তে ২১৫ জন করোনা রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন। এদিকে শুধু এই একটি হাসপাতাল নয়, শনিবার সকালে মুলচন্দ হাসপাতালও অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে মধ্যপ্রদেশ, বিহার, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যে ভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, তাতে ঠিকমতো অক্সিজেনের জোগান না-পেলে বাংলায়ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের।
ইতিমধ্যেই অক্সিজেন সংকটের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরে এনেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘অক্সিজেনের অভাবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদীর সঙ্গে বৈঠক সরাসরি সম্প্রচারিত করার জন্য গতকালই প্রধানমন্ত্রীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কেজরিওয়ালকে। পরে অবশ্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন।
এদিকে বাংলাতেও অক্সিজেনের সংকট দেখা দিতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনটাই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রেকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখনও বাংলায় প্রবল অক্সিজেন সংকট না হলেও যেভাবে করোনার সংক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আন্দাজ করেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণকে শুক্রবার অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment