মোবাইল ফোন কেনার জন্য খুন? তাও আবার নিজের বন্ধুর মা’কেই! লোভের বশে মানুষ যে কী সাংঘাতিক অপরাধ করতেও পিছপা হয়না, তা কেরলের বছর উনিশের কিশোরকে জেরা করে জানতে পারে পুলিশ। খুনের ধরন দেখে শিউরে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারাও।
ঘটনাটা কেরলের আলাপ্পুঝার কাছে কাট্টানাম এলাকার। এক মহিলাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগে জেরিন রাজু নামে এক কিশোরকে গত রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলা তার বন্ধুর মা। থাকেন কিশোরের পাশের বাড়িতেই। নাম থুলাসি।
জেরায় রাজু জানিয়েছে, দামি মোবাইল ফোন কেনার জেদ চেপে বসেছিল তার মনে। যেমন করেই হোক টাকা জোগাড় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে। সুযোগও এসে যায় হাতের সামনে। থুলাসিদের বাড়িতে তার অবাধ যাতায়াত। বাড়ির কোথায় কী থাকে সেটাও তার নখদর্পনে। দিনকয়েক আগেই বন্ধুর মা’কে দশ হাজার টাকা আলমারিতে টাকা রাখতে দেখেছে সে। সেই টাকা হাতানোরই ফন্দি এঁটে নেয় মনে মনে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার থুলাসির স্বামী সুধাকরণ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে অর্থাৎ রাজুর বন্ধুও কাজের জন্য বাইরে ছিল। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে টাকা চুরি করার চেষ্টা করে রাজু। কিন্তু, ধরা পড়ে যায় থুলাসির হাতে। মহিলা তাকে সামান্য বকাঝকা করে টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। তাতে রেগে গিয়ে রাজু থুলাসির গলা টিপে ধরে। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে, দেহ ঝুলিয়ে দেয় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে।
বিকেলে সুধাকরণ বাড়ি ফিরলে স্ত্রীকে ওই অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। আলাপ্পুজা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, মহিলাকে নির্মমভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুধাকরণ। তদন্তে নেমে পুলিশ আশপাশের সব বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। রাজুর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে তাকে আটক করে পুলিশ।
ভাল্লিকুনাম থানার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এমসি অভিলাশ জানিয়েছে, গতকাল, সোমবার নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে কিশোর। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
Be the first to comment