কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক পাইলট-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭৩ জন। ওই অভিশপ্ত বিমানে ছিলেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তথা এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানের কেবিন ক্রু অভীক বিশ্বাস। সুসংবাদ এই যে, বাংলার ওই যুবক প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
কোন্নগরের সিদ্ধেশ্বরী তলার বিশ্বাস পরিবার জানিয়েছেন, অনেক রাতে নিজেই বাবা-মাকে ফোন করেছিলেন অভীক। তিনি জানিয়েছেন, প্লেনের যাত্রীদের উদ্ধার করতে গিয়েই তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে। তবে তা গুরুতর নয়। তিনি সুস্থ আছেন।
তিন বছর আগে ইন্ডিগোতে কেবিন ক্রু হিসেবে যোগ দেন অভীক। পরে ইন্ডিগোর চাকরি ছেড়ে এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন চেহারার তরুণ। শনিবার অভীকের বাবা অজয় বিশ্বাস এবং মা ভারতী বিশ্বাস দুজনের গলাতেই শান্তির স্বর।
তাঁরা দুজনেই বলেছেন, “ “ছেলেটা বড় বিপদ থেকে বেঁচে ফিরেছে। ও কথা বলেছে, ওর গলা শুনেই শান্তি পেয়েছি।” উল্লেখ্য, শুক্রবার অবতরণের জন্য বেশ কিছুক্ষণ ধরে কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরের আকাশে ঘুরছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান আইএক্স-১৩৪৪।
কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির জেরে খারাপ আবহাওয়া থাকায় সেটি অবতরণ করতে পারছিল না। এমনকি দু’বার অবতরণের চেষ্টাও করে বোয়িং ৭৩৭ এনজি। কিন্তু বিফল হয়। তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই দুর্ঘটনা। র্যাডারে এমনটাই ধরা পড়েছে। উড়ানের পরিভাষায় কোঝিকোড় ‘টেবলটপ’ বিমানবন্দর। এই ধরনের বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে রানওয়ে থাকে পাহাড় বা মালভূমির উপরে। তার পরেই থাকে গভীর খাদ। ফলে এই ধরনের বিমানবন্দরে বিমান নামানো কঠিন।
কোঝিকোড় বিমানবন্দরের সুরক্ষার মান নিয়ে ২০১৯ সালে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিসিএ। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে শোকজ় নোটিশও দেওয়া হয়। বিমানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন বুরো এই ঘটনার তদন্ত করবে।
Be the first to comment