এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান আইএক্স১৩৪৪ অবতরণের আগে প্রয়োজনীয় ফ্রিকশান টেস্টটাই হয়নি রানওয়েতে! কোঝিকোড়ের কারিপুরে শুক্রবার সন্ধের বিমান দুর্ঘটনার পর যখন গোটা দেশ মৃত্যুর মিছিল দেখছে, তখনই সামনে এল এই তথ্য।
সূত্রের খবর, ফ্রিকশান টেস্টের জন্য জরুরি সরঞ্জামগুলি দিন কয়েক আগেই চেন্নাই থেকে আনা হয়েছিল এই বিমানবন্দরে। কিন্তু এই পরীক্ষা এখনও চালুই করা যায়নি।
বিমানবন্দরের রানওয়ে বা সড়কপথে ফ্রিকশান টেস্ট হয় প্রায়শই। এই পরীক্ষাটির জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি কাজ করে। এটি রানওয়ের প্রতিটি বিন্দুর ফ্রিকশান যাচাই করে জানান দেয় কোনও জায়গার টেক্সচার নষ্ট হয়েছে কিনা। টেক্সটার নষ্ট হওয়ার অর্থই হল চাকা রবার গ্রিপ না পেয়ে পিছল খাবে। ফলে কারিপুর বা ম্যাঙ্গালোরের মতো টেবিলটপ বিমানবন্দরে যেখানে ঝুঁকি আর পাঁচটা বন্দরের তুলনায় বহুগুণ বেশি, সেখানে এই পরীক্ষা করা জরুরি।
শুক্রবার সন্ধে ৭টা ৪১ মিনিট নাগাদ কোঝিকোড়ে পৌঁছয় বন্দে ভারত মিশনের এই বিমানটি। বিমানে ছিলেন ১৭৪ জন যাত্রী, ১০ জন শিশু, একজন পাইলট, একজন ফার্স্ট অফিসার এবং ৪ বিমানকর্মী। কম দৃশ্যমানতার মধ্যে দিয়েই দুবার অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ পাইল দীপক বসন্ত শাঠে। তৃতীয় বার অবতরণের চেষ্টা করতেই এই বিপত্তি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছে. ফ্রিকশান টেস্ট হলে এই বিপত্তি এড়ানো যেত।
অবশ্য এই টেবিলটপ বিমানবন্দর নিয়ে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। ২০১৯ সালে ডিজিসিএ শোকজও করে শুধু তাই নয়, রানওয়ের পাশে খাদ থাকা যে ঝুঁকিমূলক তা জানানো হয় নয় বছর আগে। কিন্তু কেউই কর্ণপাত করেনি। তারই মাশুল গুণতে হল এই মৃত্যুতে।
শেষ পাওয়া খবর, বিমানটির ব্ল্যাকবক্স পাওয়া গিয়েছে। বিমানটির ফ্লোরবোর্ড কেটে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে৷ বিমানের ভিতর থেকেই ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার হয়েছে৷ তদন্তকারীদের আশা , এইগুলি পরীক্ষা করেই উঠে আসবে বিপত্তির মূল কারণ।
Be the first to comment