প্রবল বৃষ্টিতে বেহাল কেরল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯। সরকারি হিসেবে এখনও নিখোঁজ ১৪ জন। আট জেলায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ। পেরিয়ার নদীর তীরে বসবাসকারী প্রায় ২০০ পরিবার ঘরছাড়া হয়েছেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে আলফন্স বলেছিলেন গত পাঁচ দশকে এমন বৃষ্টি দেখেনি কেরল। বাতিল করা হয়েছে কেরলের বিখ্যাত নেহরু ট্রফি বোট রেস।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে এখনও আটকে রয়েছেন অনেকেই। শুক্রবার মুন্নার থেকে ৬৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ২০ জন বিদেশী। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইদুক্কি জেলা। ২৬ বছর পর ইদুক্কি জলাধারের ৫টি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিতে জলের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ২৪টি বাঁধের লকগেট ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের চল্লিশটির বেশি নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
কেরলে বিভিন্ন জেলায় বন্যা সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও মধ্য কেরলে ভূমি ধসের কারণে বিপর্যস্ত কয়েক লক্ষ জনজীবন। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমায় খানিকটা হলেও স্বস্তিতে প্রশাসন। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাত হবে। টানা বৃষ্টিতে ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু রাস্তা। অনেক জেলাতেই বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। কেরল সরকার জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে প্রায় ৫০০ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
Be the first to comment