ভয়াবহ আকার নিয়েছে কেরলের বন্যা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৪। কোচির অধিকাংশ এলাকা ডুবে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলুভা অঞ্চল। নতুন করে ধস নেমেছে ইদুক্কি, মালাপ্পুরম এবং কান্নুর অঞ্চলে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে বিভিন্ন জেলায় স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কেরালার চোদ্দটি জেলার মধ্যে তেরোটি জেলাতেই রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইদুক্কি। শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্যের পর কেরল যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে আরও বেশি সেনা এবং সরঞ্জাম নামিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী, বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনী। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, “ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছে কেরলে। বেশিরভাগ গ্রামেই বন্যা হয়েছে। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথা হয়েছে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য আরও হেলিকপ্টার আনা হচ্ছে।”
কেরলে বিখ্যাত দুই পর্যটন কেন্দ্র মুন্নার এবং সবরিমালা কার্যত সব দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ধসের কারণে ওই অঞ্চলে ভেঙে গিয়েছে প্রায় সব রাস্তাই। একমাত্র সরকারি গাড়ি ছাড়া আর কোনও গাড়ি ওই অঞ্চলে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পর্যটকদের মুন্নার এবং সবরিমালা এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে।
Be the first to comment