কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যের পুনর্গঠনে লাগবে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করতে পেরেছে ৬০০ কোটি। এমন সময় জানা গেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে যে ৭০০ কোটি টাকা বন্যাত্রাণে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তা নাও নিতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, আমরা কেরলে বন্যাত্রাণের জন্য বিদেশের সাহায্য নিচ্ছি না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্ষেত্রেও সেকথা প্রযোজ্য। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, এখনও আমিরশাহি থেকে কেউ আমাদের অনুদান দেবে বলেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, যে ভারতীয়রা বিদেশে থাকেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা পাঠাতে পারেন। সেই অর্থের ওপরে ট্যাক্স নেওয়া হবে না। যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে নথিভূক্ত, তারা যদি বিদেশ থেকে অনুদান পায়, সেই অর্থের ওপরে কর নেওয়া হবে না। কিন্তু নথিভূক্ত নয় এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি অনুদান পেলে তার ওপরে কর নেওয়া হবে। অন্যদিকে কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস ইসাক বলেছেন, আমিরশাহি অনুদান দিলে কেন্দ্রীয় সরকার তার ওপরে কর বসাতে পারে না।
কেরলে গত ৮ অগাস্ট থেকে প্রবল বৃষ্টিতে সাড়ে ৩০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব যা করা হয়েছে, তার পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা। পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেরলের জন্য ২৬০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করুক। কেরলের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা যায় না। কেন্দ্র ইতিমধ্যে ওই বন্যাকে গুরুতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি টিম কেরলে গিয়েছে। তাঁরা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে রিপোর্ট দেবেন। তার ভিত্তিতে কেরলকে আরও অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
Be the first to comment