কেরলের বন্যায় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারন মানুষ

Rescuers evacuate people from a flooded area to a safer place in Aluva in the southern state of Kerala, India, August 18, 2018. REUTERS/Sivaram V
Spread the love

বানভাসি কেরলের ত্রিচুর জেলায় কয়েকদিন ত্রাণশিবিরে ছিল এক পরিবার। বৃষ্টি বন্ধ হতে পরিবারের কর্তা ভাবলেন, একবার দেখে আসি বাড়িঘর কী অবস্থায় আছে? সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির উঠোনে তাঁর অপেক্ষায় আছে এক কুমির। বন্যার জলে ভেসে ঢুকে পড়েছে।

কেরলে এমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে আরও অনেকের।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে জেলাগুলি, তাদের মধ্যে আছে আলাপ্পুঝা, পাঠানামাত্তিথা, ইদুক্কি, কোঝিকোড়, এর্নাকুলাম, মালাপ্পুরম ও ওয়াইনাদ। মালাপ্পুরম জেলায় থাকেন সাপুড়ে মুস্তাফা। লোকের বাড়িতে যে সাপগুলো বাসা বেঁধেছে, তাদের ধরার জন্য মুস্তাফার ডাক পড়ছে ঘন ঘন। গত দুদিনে তিনি ১০০-র বেশি সাপ ধরেছেন। তিনি বলেছেন, যখনই বন্যা হয়, মানুষের ঘরে সাপ আর বিষাক্ত পোকামাকড় ঢুকে পড়ে। যাঁরা বন্যার পরে বাড়ি ফিরছেন, তাঁরা সাবধান থাকুন। দেখেশুনে তবে জুতোয় পা গলাবেন। ভিজে কাঠের ভিতরে কিংবা মেঝের গর্তে হাত দেওয়ার আগে ভালো করে দেখে নেবেন।

এর্নাকুলাম জেলার অঙ্গামারি হাসপাতালে সাপে কামড়ানো ৫২ জনের চিকিৎসা চলছে। পাঠানামাত্তিথা জেলার অনেকে বাড়ি ফিরে সাপখোপ দেখে ফের ত্রাণশিবিরে পালিয়ে এসেছেন।

সরকার জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে সাপে কাটার প্রতিষেধক পাঠানো হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*