অভাবের সংসারে পরিবারের লোকের কাছে বোঝা হতে চাননি কেরলের তরুণী হানান হামিদ। তাই কলেজ শেষে বাজারে গিয়ে বসতেন মাছ বিক্রি করার জন্য। যা আয় হতো তাতে পড়ার খরচটা উঠে যেত বছর একুশের মেয়েটির। রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন হানান। তাঁর লড়াইয়ের গল্প ছাপা হয়েছিল মালায়ালাম দৈনিক সংবাদপত্র ‘মাতৃভূমি’-তে। অবশ্য বেশ কয়েকজন নেটিজেনের ট্রোলের শিকারও হয়েছিলেন তিনি। অনেকেই বলেছিলেন দুঃখের কাঁদুনি গেয়ে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছেন হানান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্টরা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই হানান। তিনি জানিয়েছেন, কোঝিকোড়ের একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর গাড়ি। ভালোমতোই চোট পান তিনি। অস্ত্রোপচারও হয় হানানের। তবে তিনি জানিয়েছেন, এটা নিছকই দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন না। বরং এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। মাতৃভূমি.কম-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েওছেন সেই কথা।
হানান বলেন, গন্তব্যস্থলে আসতে যা সময় লাগার কথা তার থেকে বেশ খানিকটা বেশি সময় লেগেছিল তাঁর। এমনকী গাড়ির চালকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, বেশ কিছু অসংলগ্ন এবং মিথ্যে কথা বলেছেন গাড়ির চালক। নিজের বন্ধুর গাড়িতে করে তিরুবনন্তপুরম থেকে কোঝিকোড় যাচ্ছিলেন হানান। তাঁর বন্ধুই দু’দিনের জন্য গাড়ির চালক ঠিক করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হানান।
হানানের অভিযোগ, গাড়ির চালক বলেছিলেন ঘুমানোর জন্য খানিকক্ষণ গাড়ি থামিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু হানানের দাবি, তিনিও গাড়িতে চোখ বন্ধ করেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মাঝে বেশ কয়েকবার ঘড়ি দেখার জন্য ঘুম থেকে উঠেওছিলেন। তখন তিনি খেয়াল করেছেন গাড়ি একবারও থামেনি। বরং বেশ জোরেই গাড়ি চলছিল।
চালকের মিথ্যে কথার জন্যই তাঁর সন্দেহ বাড়ছে বলে জানান হানান হামিদ। তবে পুলিশের উপরেই আস্থা রেখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আসল সত্যি পুলিশই খুঁজে বের করবে।
Be the first to comment