দু’বছর ধরে ধর্ষণ করে চলেছে নিজেরই বাবা। সঙ্গ দিচ্ছে বন্ধুরাও। নানা অছিলায় কখনও জোর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে, কখনও হুমকি দিয়ে চলছে যৌন নির্যাতন। ভয় ও আতঙ্কে মুখে কুলুপ এঁটেছে নির্যাতিতাও। আতঙ্কের প্রহর কাটে কিশোরীর মা ও ভাইয়ের প্রচেষ্টায়। বিযয়টা প্রথম নজর করেন তাঁরাই। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিশোরীর বাবা-সহ ধর্ষণে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছে কেরলের কান্নুরে। বছর ষোলোর ওই কিশোরী জানিয়েছে, তার বাবাই একাধিক বার ধর্ষণ করেছে তাকে। লাগাতার দু’বছর ধরে চলছে এই নির্যাতনের ঘটনা। ভয় ও লজ্জায় পরিবারের কাওকে কিছু জানাতে পারেনি সে। শুধু বাবা নয়, তার উপর নানা সময় যৌন নির্যাতন চালিয়েছে তার বন্ধুরাও। যাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই তার আলাপ ফেসবুকে।
নির্যাতিতার কথায়, নভেম্বরে চার বন্ধু তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। ঘটনার ভিডিও তুলে রাখে তারা। জোর করে আপত্তিকর ছবি তুলতেও বাধ্য করে তাকে। পরে সেই সব ছবি ও ভিডিও দেখিযে ব্ল্যাকমেল করে ফের ধর্ষণ করে তাকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে জনা ২০ জন। এদের সবার সঙ্গেই নির্যাতিতার বাবার যোগসাজশ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কান্নুর জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জি শিবা বিক্রমের কথায়, ধর্ষণের একাধিক ভিডিও তুলে রাখা হয়েছে। সেই সব সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পর্ন সাইটে আপলোড করা হয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, মেয়েকে দেখে মনে হয়েছিল সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। কারওর সঙ্গে বিশেষ কথা বলত না। সবসময় ভয় সিঁটিয়ে থাকত। শারীরিক ভাবেও অনেক দুর্বল হয়ে গেছিল। মেয়েটি যে তার বাবারই লালসার শিকার, সেটা সর্বপ্রথম নজর করে তার ভাই। সেই পরিবারের বাকিদের বিষয়টি জানায়। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
নির্যাতিতার বাবা-সহ পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও কয়েজনকে আটক করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ
Be the first to comment