বছর ১৬-র এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো ১৩ জনকে। এর মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর এক নেতাও।
চলতি মাসের ৩ তারিখে এক স্কুল ছাত্রীকে গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কেরলের কান্নুরে। চারটি থানা-সহ কেরলের মহিলা সেলে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা। এরপর গত শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কান্নুরের পুলিশ। এর মধ্যেই রয়েছে নিখিল মোহন নামের এক ডিওয়াইএফআই নেতা।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীটি টিউশন সেরে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে বাড়িতে না জানালেও দু’দিন পর গোটা ঘটনা জানায় পরিবারের লোকজনকে। এরপরই তার বাবা গিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। ধর্ষকের দলে যেমন রয়েছে ১৯ বছরের যুবক, তেমন রয়েছে ওই ছাত্রীর এক বান্ধবীর বাবাও। যদিও কেরলের বাম যুব সংগঠন এই অভিযোগ শোনার পরই নিখিলকে বহিষ্কার করে।
কয়েক দিন আগেই দলের বিধায়ক পিকে শশীর বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই নেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল কেরল সিপিএমে। পরে দলের ভিতর কমিশন করে কয়েক সপ্তাহ আগেই শশীকে ছ’মাসের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। ফের যুব নেতার এমন কাণ্ডে কেরল সিপিএমের মুখ পুড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
Be the first to comment