অবশেষে মহিলাদের জন্য খুলল কেরলের সবরিমালা মন্দিরের দরজা। এতদিন ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের জ্ন্য একপ্রকার বন্ধই ছিল মন্দিরের প্রবেশদ্বার। শেষপর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপেই খুলছে দরজা। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সহ পাঁচ বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, মন্দিরে প্রার্থনা করাও একধরনের সাংবিধানিক অধিকার। এজন্য আলাদাভাবে নিয়ম করার প্রয়োজন থাকতে পারে না। যদি নারী, পুরুষ সবাইকেই ভগবান সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে এত বৈষম্য কেন? উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের জন্য মন্দিরের প্রবেশদ্বার একরকম বন্ধই ছিল। যদি ঢুকতে হয়, তাহলে দিতে হবে দিতে হবে ‘পবিত্রতার’ পরীক্ষা। তা হলেই মিলবে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি। ‘শুচিতা’ যাচাই করতে বসানো হবে স্ক্যানার। সেসব পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই মিলবে অনুমতি। সবরিমালা মন্দির কর্তৃপক্ষের এই মন্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ধরনের মন্তব্য চরম পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়। গতবছর অক্টোবরে মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেই মামলার শুনানিতে, নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানান প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আদালতের রায়ে খুশি প্রতিবাদীরা। তাঁদের বক্তব্য, যুগ যুগ ধরে চলে আসা নারীবিদ্বেষী বৈষম্যমূলক ভাবনার হাত শক্ত করে।
Be the first to comment