ভোট মিটলেও অশান্ত কেশপুর। নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চলতে থাকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ঘটনাকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের নেড়াদেউল বাজারে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয় কেশপুরে। তার আগের রাতেই অর্থাৎ বুধবার বাড়ির অদূরে খুন হন উত্তম দোলুই নামে এক তৃণমূল কর্মী। বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে দলীয় কার্যালয়ে থেকে ফেরার পথে তাঁকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তোলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঘটনাকে ঘিরে নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল কেশপুর। বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে কেশপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে। এক যুবকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, ওই যুবক তাদের দলের কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছিলই। তার আঁচ কাটল না ভোট মিটলেও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দেহ নিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, “উত্তম দোলুই তৃণমূলের কর্মী। তার মৃত্যুর জন্য আমরা ব্যথিত। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ও দোষীদের শাস্তি হওয়াও প্রয়োজন। রাজ্যে মৃত্যুর রাজনীতির শেষ হওয়া প্রয়োজন।”
Be the first to comment