ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় একটি চোখ গিয়েছিল আগেই, এ বার দৃষ্টি গেল অন্য চোখেরও। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে যুবক আরিফুল তাই নিরুপায় হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি।
কেশপুর থানার গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আমুড়িয়া গ্রামের বছর বত্রিশের যুবক আরিফুল মল্লিক জানিয়েছেন, ডান চোখের সমস্যা হওয়ায় বছর দেড়েক আগে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। দাসপুরের বাসিন্দা অক্ষয় দাস নামে ওই চিকিৎসকের ভুল ওষুধে তাঁর ডান চোখের দৃষ্টি সম্পূর্ণ চলে যায়। ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে থাকে বাঁ চোখের দৃষ্টিও।
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা ও স্ত্রী ছাড়াও আরিফুল্লের রয়েছে দুই সন্তান। পরিবারের একমাত্র রোজগেরেও তিনি। টিউশনি করেই সংসার চলত তাঁর। দৃষ্টি হারিয়ে এখন তিনি বেকার। অনাহারে দিন কাটছে তাঁর। সাহায্যের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও মুখ ফিরিয়েছে সবাই। সহযোগিতা করেন না এলাকার বাসিন্দারাও।
প্রতিবন্ধী যুবক বলেছেন, “শুধু ভিটে টুকুই টিকে আছে। চোখ অন্ধ, রোজগার নেই। অনাহারে দিন কাটছে। তাই লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি।”
Be the first to comment