পশ্চিম মেদিনীপুরে পুলিসকর্মীদের হেনস্থায় কড়া পদক্ষেপ। ঘটনায় ৫ টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলেন্টিয়ার হেনস্থায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাওয়ার পথে ৬ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া চৌরঙ্গী এলাকায় পুলিসকর্মীদের মারধর করে বিজেপিকর্মীরা। সোমবার এই ঘটনার সূত্রপাত হয় বেলা ১১টায়। গাড়ি করে সভা মঞ্চে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। গাড়ির ভিড়ে ৬ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই, পুলিস বিজেপিকর্মী সমর্থকদের গাড়ি আটকে দেয়। এরপরই সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি সমর্থকদের।
অভিযোগ, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপর চড়াও হয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশীও। তাঁকেও রীতিমতো ধাওয়া করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রাস্তার পাশ থেকে খুলে ফেলা হয় তৃণমূলের পতাকা ও তোরণ। এরপর চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁকে। ঘটনায় আহত হন বেশকয়েকজন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেলা পুলিস সুপার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিস গাড়ি আটকাচ্ছিল। আমাদের কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তাই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এভাবে পুলিসকে মারধর করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Be the first to comment