মঙ্গলবার মাঝরাতে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ব্যারিকেড সরিয়ে নিল পুলিশ। কিষান ঘাটের দিকে রাতেই মিছিল শুরু করলেন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে ঢোকার আগেই শক্ত ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল ৩০ হাজার কৃষকের মিছিল। চলেছিল টিয়ার গ্যাস, জলকামান। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার কৃষক জমি ছাড়েননি। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতারা জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার সারারাত ওখানেই অবস্থান করবেন কৃষক, ক্ষেতমজুররা। বুধবারও বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। পরিস্থিতির আগাম আন্দাজ করে মঙ্গলবার বিকেলেই গাজিয়াবাদের স্থানীয় প্রশাসন ঘোষণা করে দেয় বুধবার বন্ধ রাখা হবে সমস্ত স্কুল-কলেজ।
কৃষি ঋণ মুকুব, বিদ্যুৎ এবং পেট্রোপণ্যে ভর্তুকি, ৬০ বছরের বেশি বয়সী কৃষকদের জন্য পেনশন চালু এবং স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা সহ ১১ দফা দাবিতে উত্তরপ্রদেশের বস্তি, হরিদ্বার, গণ্ডা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয় কিষান ক্রান্তি পদযাত্রা। দিল্লিতে ঢোকার আগেই দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমানায় আটকে দেওয়া হয় মিছিল। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নামে যে সংগঠনটি এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তার নেতা নরেশ টিকায়েত বলেন, “আমরা তো শৃঙ্খলা ভাঙিনি। আমাদের থামিয়ে দেওয়া হল কেন? আমরা সরকারের কাছে দাবিদাওয়ার কথা জানাতে চেয়েছিলাম। নিজেদের দেশের সরকার যদি আমাদের কথা না শোনে, তা হলে কি পাকিস্তান বা বাংলাদেশে যাব?”
বুধবার রাজধানীর বুকে কৃষক বিক্ষোভ কী রূপ নেয়, সরকারই বা কী ভূমিকা গ্রহণ করে এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment