ম্যাক্সওয়েল–ডিভিলিয়ার্স ঝড়ে উড়ে গেল KKR, ৩৮ রানে জয়ী RCB

Spread the love

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে কলকাতা নাইট রাইডার্স অনেকটা এগিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু পরিসংখ্যান তো আর সবসময় কথা বলে না। গত বছরের মতো এ মরশুমেও নাইটদের টেক্কা দিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। দুরন্ত ছন্দে থাকা বিরাট কোহলির দল ৩৮ রানে হারাল নাইট রাইডার্সকে। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল। স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। ম্যাক্সওয়েল ও ডিভিলিয়ার্স ঝড়ে উড়ে গেল নাইটরা।

টি২০ ক্রিকেটে ইওয়িন মর্গানের বিরুদ্ধে টসের ভাগ্য মোটেই ভাল নয় বিরাট কোহলির। রবিবার চিপকে মাঠে নামার আগে টানা ৭ বার টস হেরেছেন কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি গায়ে অবশেষে শাপমোচন। এদিন অবশ্য টসে জিতলেন। আর টস জিতেই ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি।
চিপকের বাইশ গজ পরের দিকে মন্থর হয়ে যায়। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে শট খেলা অসুবিধা হয়। সেকথা মাথায় রেখেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিপক্ষের ওপর বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে চাপে ফেলা। মন্থর উইকেটে নাইটদের রান তোলার কাজও কঠিন হয়ে যাবে।

বিপক্ষকে চাপে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই শুরুতে চাপে পড়ে যান কোহলিরা। ২ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে কোহলি (৫)‌ ও রজত পতিদারকে (‌১)‌ তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দেবদত্ত পাদিক্কাল ও ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুললেও সতর্কভাবে এগোচ্ছিলেন দেবদত্ত। সিঙ্গলস নিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে ফেরেন পাদিক্কাল (‌২৫)‌। দুজনে ততক্ষণে জুটিতে তুলে ফেলেছেন ৮৬ রান।

এরপর ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ম্যাক্সওয়েল ও ডিভিলিয়ার্স ঝড়ে তখন নাইট বোলাররা দিশেহারা। কামিন্স যখন ম্যাক্সওয়েলকে (‌৪৯ বলে ৭৮)‌ ফেরান তখন ১৪৮ রানে পৌঁছে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ডিভিলিয়ার্স ৩৪ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যমন্ত ২০ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর তোলে ২০৪/‌৪।

চিপকের উইকেটে পরে ব্যাট করে ২০৪ রান তোলা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না নাইট রাইডার্সের কাছে। ঝড় তুলে শুরুতেই ফিরে যান শুভমান গিল (‌২১)‌। পরপর রাহুল ত্রিপাঠী (‌২৫)‌, নীতীশ রানা (‌১৮)‌ ও দীনেশ কার্তিকের (‌২)‌ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। অধিনায়ক ইওয়িন মর্গানও (‌২৯) জ্বলে উঠতে পারেননি। বড় রান তাড়া করতে গেলে বড় পার্টনারশিপের দরকার ছিল। সেটা গড়ে তুলতে পারেননি নাইট ব্যাটসম্যানরা। সাকিব আল হাসান (‌২৬)‌ ও আন্দ্রে রাসেল (‌৩১)‌ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রয়াস যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৬/‌৮ তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ‌

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*