শুরুতেই শুভমান গিলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চাপ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত জয় তুলে নিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১০ রানে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল মর্গান ব্রিগেড। নাইটদের জয়ের নায়ক নীতীশ রানা।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনিংয়ে শুভমান গিলের সঙ্গে কে নামেন, সেটা নিয়ে জল্পনা ছিল। অনেকেই আশা করেছিলেন, রাহুল ত্রিপাঠীকে পাঠানো হতে পারে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট নীতিশ রানাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দুই ওপেনার দারুণ শুরু করেছিলেন। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে দুজনে তুলে ফেলেছিলেন ৫০। পরের ওভারেই রশিদ খানের ধাক্কা। শুভমানকে (১৫) তুলে নেন। গত বছর আইপিএলে দারুণ নজর কেড়েছিলেন নাইট রাইডার্সের এই তরুণ ওপেনার। এবছর প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ।
শুভমান ফিরে গেলেও ঝড় তোলেন নীতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠী। দু’জনে জুটিতে তোলেন ৯৩। নটরাজনের বলে ত্রিপাঠী (২৯ বলে ৫৩) ফিরতেই ধস নাইট রাইডার্সে। পরপর ফিরে যান রাসেল (৫), নীতিশ রানা (৫৬ বলে ৮০) ও অধিনায়ক ইওয়িন মর্গান (২)। ১৮তম ওভারে মহম্মদ নবি পরপর দু’বলে নীতিশ রানা ও নাইট অধিনায়ক মর্গানকে তুলে জোর ধাক্কা দেন নাইট শিবিরে। দীনেশ কার্তিক ৯ বলে করেন ২২। ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ১৮৭/৬। শেষ ৫ ওভারে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি নাইট রাইডার্স। ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৪২। এই ৫ ওভারে আসে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি।
চিপকের স্পিন সহায়ক উইকেটে হরভজন সিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন মর্গান। প্রথম ওভারেই তাঁর হাতে বল তুলে দেন। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (৩)। পরের ওভারেই ঋদ্ধিমানকে (৭) তুলে নেন সাকিব আল হাসান। মনীশ পাণ্ডে ও জনি বেয়ারস্টো দলকে টানছিলেন।
বেয়ারস্টোকে (৫৫) তুলে নেন কামিন্স। নবিকে ফেরান (১৪) প্রসিদ্ধ। মনীশের (অপরাজিত ৬১)লড়াই কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭৭/৫ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
Be the first to comment