দীর্ঘদিন ধরে কেএলও’র সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে আত্মসম্পর্ণ করলেন সেই কৈলাস কোচ ওরফে কেশব রায় ও তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়নের ধারা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানী ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর পাশের চেয়ারে ছিলেন কৈলাস কোচ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। সেখানেই কৈলাস কোচ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা ও তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রেখে আমি ও আমার স্বামী সাধারণ জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ এখানে আত্মসমর্পণ করব। কৈলাস কোচের কথায়, “আমি দীর্ঘদিন জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু আমি বুঝেছি, হিংসা দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমি আমার কামতাপুরের বন্ধুদের বলব, যাঁরা এখনও জঙ্গলে অস্ত্র ধরে রয়েছে, আপনারা সাধারন জীবনে ফিরুন।” এরপরই কৈলাস দাবি করেছেন, তাঁর বহু সঙ্গী অতি দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
এদিন নিজের বক্তব্য জানানোর পর ডিজি মনোজ মালব্যর হাতে বন্দুক তুলে দেন কৈলাস। ডিজি বলেন, জঙ্গি ক্রিয়াকলাপে যুক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। আত্মসমর্পণকারীরা সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আমি বলব, আপনারা বন্দুক ছেড়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসুন।
প্রসঙ্গত, আগে বাংলাদেশ পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন কৈলাস কোচ। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অসমে। বাংলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা রয়েছে। একটা সময়ে তিনি পলাতক ছিলেন বলেও খবর মিলেছিল। এবার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে চলেছেন কৈলাস।
Be the first to comment