
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:– মধ্যমগ্রাম ট্রলি-কাণ্ডের আট দিনের মাথায় উদ্ধার হল খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের ভাড়াবাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে মেলে খুনে ব্যবহৃত বঁটি। একই সঙ্গে ওই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি হাতুড়ি এবং দা। যা সুমিতা ঘোষের খুনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। তবে এখনও মেলেনি দেহ কাটায় ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্রটি। সেটির খোঁজ চলছে। সঙ্গে খোঁজ চালানো হচ্ছে দ্বিতীয় ট্রলিটিরও।
ট্রলি-কাণ্ডে সোমবারই ধৃত আরতি ও তার মেয়ে ফাল্গুনীকে সাত দিনের হেফাজতে পেয়েছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। আর তারপরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ধৃত দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লিতে পৌঁছয় তদন্তকারী দল। এরপর, মা ও মেয়ের কথা মতো ওই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই মেলে খুনে ব্যবহৃত বঁটি, একটি রক্তমাখা বিছানার চাদর, হাতুড়ি ও দা। যদিও ধৃতদের দাবি, তাঁরা ওই দা এবং হাতুড়ি পুকুরে ফেলেনি।
উল্লেখ্য, ট্রলি-কাণ্ডে সোমবারই উঠে এসেছিল নয়া তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, নীল রংয়ের ট্রলি ব্যাগে পিসি শাশুড়ির দেহ ভরে নিয়ে যাওয়ার আগে আরও একটি ছোট ট্রলি নিয়ে সেদিন ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল আরতি ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী। মধ্যমগ্রাম এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেই ট্রলির বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এ নিয়ে ধৃতদের জেরাও করা হয়। আর সেই দ্বিতীয় ট্রলির কথা স্বীকার করে নেয় মা ও মেয়ে। তখনই জানা যায়, একটি নয়। আরও একটি ট্রলি ব্যাগ ব্যবহার করেছিলেন দেহ পাচারের চেষ্টার আগে। আর খুনে ব্যবহৃত বঁটি আর ছুরিটি তাঁরা ফেলেছিল ভাড়া বাড়ি লাগোয়া একটি পুকুরে। তবে, মঙ্গলবার তল্লাশিতে পুকুর থেকে বঁটি উদ্ধার করা গেলেও ছুরি অবশ্য উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশের সন্দেহ, ওই বঁটি আর ছুরি দিয়েই সুমিতার দেহ কেটেছিল আরতি ও ফাল্গুনী।
Be the first to comment