বুধবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত কোচি বিমানবন্দরে স্থগিত থাকবে সমস্ত জাতীয় বিমানের উড়ান। ভারী বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে বিমানবন্দরে। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েক দিন ধরেই কেরালা জুড়ে প্রবল ভারী বর্ষণ চলছে। উত্তর দিকের পাহাড়ি এলাকায় বড় ধসও নেমেছে। প্রায় ১৪ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যাশিবিরে। বৃষ্টির অবশ্য বিরাম নেই।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটা নাগাদ মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের ১৩টি লকগেট খুলে দেওয়া হয়। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হয়। গোটা এলাকা বানভাসি হয়ে যায় রাতেই।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এই বন্যা পরিস্থিতি ১৯২৪ সালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের থেকেও খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ বছরের দুর্যোগে। গৃহহীন হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এই বছর ‘ওনাম’ উৎসব পালন করা হবে না কেরালায়।
Be the first to comment