ক্রমশ বাড়ছে কলকাতাবাসীর সচেতনতা। সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের গুরুত্ব বুঝে গৃহবন্দী থাকছেন মানুষজন। আর এর জেরেই প্রতিদিন কমছে কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তারির সংখ্যা। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে পুলিশ আরও বেশি করে মানুষজনের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে ও তাঁদের সচেতন করতে সক্ষম হচ্ছে।
নভেল কোরোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন একমাত্র পথ। সংক্রমণ ঠেকাতে জনবিচ্ছিন্ন করতে হবে নিজেকে। ভারতে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই এমন সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বলা হচ্ছে, যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে যেতে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা বলছে, এভাবেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। আর তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু দেশবাসীর একাংশের হুঁশ ফেরেনি। অন্তত মানুষের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ার প্রবণতা তেমনটাই বলছে। সরকারি নির্দেশিকায় কাজ না হওয়ার পর নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা। রাজ্যে লকডাউনের প্রথম দিনেই ১০০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেই রাতে সংখ্যাটা আরও ২৯৯ বেড়ে যায়। গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ১৩০২। তাদের মধ্যে ৬৪০ জনের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ ছিল।
৬৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় লকডাউন না মেনে অকারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার জন্য। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ২৪ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে ২৫ মার্চ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার করা হয় ৮৭১ জনকে। পরেরদিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৫৩ জনকে। গতকাল বিকেল গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাত্র ১৮২ জনকে। অর্থাৎ ক্রমশ কমছে গ্রেপ্তারির সংখ্যা।
লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানাচ্ছেন, আসলে মানুষের মধ্যে ক্রমশ সচেতনতা বাড়ছে । অপ্রয়োজনে রাস্তায় বেরোনোর সংখ্যাটা কমছে। আর এর জেরেই কমছে গ্রেপ্তারের সংখ্যা। এতে অন্য সামাজিক কাজকর্মগুলিতে বেশি করে গুরুত্ব দিতে পারছে পুলিশ। বিপদগ্রস্ত ও সন্দেহজনকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । ফুটপাথে থাকা মানুষজনকে পৌছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। এমন কী বাজারগুলিতে যাতে হাত ধুতে পারেন সাধারণ মানুষ তার জন্য হ্যান্ড ওয়াশ ও বেসিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
Be the first to comment