আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে কলকাতা বইমেলা চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে প্রস্তুতি। বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সম্মেলন জানানো হয়, ৩১ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরের থিম হবে বাংলাদেশ।
যেহেতু করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর বইমেলা বন্ধ ছিল। সেই কারণে মন খারাপ হয়ে পড়ে বইপ্রেমীদের। তবে সেই সকল জল্পনার অসান ঘটিয়ে সুখবর দিল বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ড। কিন্তু করোনার কারণে একগুচ্ছ নিয়ম নীতির কথা জানানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনও ভাবেই মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। থাকবে ই-পাসের ব্যবস্থা।
কী কী নয়ম থাকছে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
১) মাস্ক ছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
২)প্রতিটি মণ্ডপ থাকবে খোলা-মেলা।
৩)মাঠের মধ্যে যতটা সম্ভব উন্মুক্ত ফাঁকা এলাকা রাখতে হবে।
৪) সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
৫) প্রয়োজন পড়লে স্টলের মাপ কমাতে হবে।
৬)স্যানিটাইজার ও ডাবল ভ্যাকসিনের উপর জোর দেওয়া হবে।
এদিকে, বাইশের বইমেলাতেও থিম অপরিবর্তিতই থাকছে বলে সূ্ত্রের খবর। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতেই এই থিম নির্বাচন করা হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দুবছরে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন একাধিক বড় নক্ষত্র। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, প্রণব মুখোপাধ্যায়, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জীর মতো একাধিক বরেন্দ্র ব্যক্তি। পাশাপাশি গিল্ডের সদস্য শমিত সরকার, তপন মুখার্জী, দেবাশীস লাহিড়ি, প্রত্যকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলাদেশ থিম হওয়ায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের পাঠক ও প্রকাশকেরাও। করোনার কারণে একবছর বইমেলা স্থগিত থাকার পর এ বছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রকাশক ও লেখকরাও এ বার এপার বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন বলেই আশা করছেন তাঁরা।
সাধারণত, শীতের মরশুমেই পালিত হয় আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে বইমেলা হবে তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে ছিলেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। গত ৫ জানুয়ারি এক বৈঠকে এই অনিশ্চয়তাকেই তুলে ধরে বইমেলা স্থগিত করার নির্দেশ দেন গিল্ড কর্তারা। যদিও পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয় বইমেলা। পরে ঠিক হয়, চলতি বছরের জুলাইতেই অনুষ্ঠিত হবে বইমেলা। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্তও শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে স্বস্তির খবর পাঠক ও প্রকাশকদের।
Be the first to comment