পুজোয় ভোর তিনটে থেকে জল সরবরাহ করবে কলকাতা পুরসভা, ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে সুলভ শৌচলয়গুলি

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক:-

বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব আসতে হাতে গোনা আর দিন কয়েক বাকি। মাস ঘুরলেই দেবীপক্ষের সূচনা । তার আগেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে দু’টি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তার মধ্যে একটি পানীয় জল পরিষেবার সময়ের রদবদল করা হচ্ছে ৷ আর দ্বিতীয় হল সুলভ শৌচলয়গুলিকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷

পুজোর নির্ঘণ্টে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, এবার প্রতিটা পুজো শুরু ভোর থেকে৷ সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শুরু হচ্ছে। ফলে তার আগে রাত থাকতে প্রস্তুতি শুরু হবে। তাই পুজোর আয়োজন, স্নান থেকে ফল প্রস্তুত করতে সব কাজের জন্য জলের প্রয়োজনও আগেই পড়বে৷ কিন্তু কলকাতায় পানীয় জল পরিষেবা শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়।
শুক্রবার পুজো প্রস্তুতি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় কলকাতা পুরনিগমে৷ সেই বৈঠকে পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ বিষয়টি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি প্রস্তাব দেন, ভোর ৩টে থেকে উৎসবের ক’দিন পানীয় জল দেওয়া গেলে সকলের সুবিধা হবে।
মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘এবার প্রতিদিন পুজো শুরু ভোরবেলা তখন তো পুজোর প্রস্তুতি থেকে স্নান সব ক্ষেত্রেই জলের প্রয়োজন। তাই আমি বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করি। আমার মতের সঙ্গে সহমত হয়ে মেয়র আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছেন ৩টে থেকে উৎসবের দিনগুলোতে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।’’ জানা গিয়েছে, সেই মতো পানীয় জল সরবরাহের ডিজিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে, যাতে উৎসবের দিনগুলোয় ৩টে থেকে জল দেওয়া যায়।
পাশাপশি আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তা হল শহর জুড়ে লক্ষ লক্ষ দর্শনীতির সমাগমের কথা মাথায় রেখেই ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে প্রতিটি সুলভ শৌচালয়। শুধু তাই নয়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সুলভ শৌচালয়গুলিকে৷ সেই নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হতে চলেছে ভারপ্রাপ্ত সংস্থাগুলিকে।
এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘কোথাও যদি মানুষ সমস্যায় পড়েন, তাঁরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে সুলভগুলি। এরসাথে ৪০০ টির বেশি বায়ো টয়লেট বিভিন্ন এলাকায় থাকবে।’’
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে বৃষ্টির পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিকাশি বিভাগকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি সিইএসসি ছোট ছোট টিম বরো ভিত্তিক থাকার কথা বলা হয়েছে। যেসব রাস্তা খারাপ আছে সেগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে পয়লা অক্টোবরের আগে মেরামত কাজ শেষ করতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*