অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। ফের এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজ্য। এবার দক্ষিণ দমদম। সারা রাতের চেষ্টাতেও মিলল না অক্সিজেন। ভোরে বাড়িতেই মৃত্যু হল করোনা আক্রান্তের।
দক্ষিণ দমদমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লিশ্রী এলাকার ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ৬৪ বছরের সুমতি ধর। পরীক্ষা করালে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়িতেই ছিলেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। অক্সিজেনে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এরপর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মৃত্যুর পর পরিবারের আরও একটা কঠিন লড়াই। সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্যও কাঠ খড় পোড়াতে হয় অনেক।
মৃতের আত্মীয়া জানিয়েছেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলেও বাড়িতে পড়ে ছিল মৃতদেহ। করোনা আক্রান্তের দেহ এ ভাবে পড়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ে এলাকায়। পরিবারের তরফ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করা হলে প্রথমে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে দর কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হলেও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে সৎকারের ব্যবস্থা করে।
এটাই রাজ্যে প্রথম ঘটনা নয়। দিন দুয়েক আগেই এ ভাবেই অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হয় খাস কলকাতায়। বন্দর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৪৩ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। এন্টালির বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা দে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সেন্টেনারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও সঠিক সময়ে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না। এ ভাবে প্রত্যেক দিন এমনই সব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে চলেছে দেশ জুড়ে। আর বর্ধিষ্ণু করোনার গ্রাফ প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
Be the first to comment