হার্ট প্রতিস্থাপনের পর দিলীচাদ সিং এর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সফল ভাবেই সম্পূর্ন হয়েছে তার হার্ট প্রতিস্থাপন। প্রতিস্থাপনে করতে মোট সময় লেগেছে ৪০ মিনিট। মোট ৬ জনের ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল সফল ভাবে এই হার্ট প্রতিস্থাপন করেন। তবে হার্ট প্রতিস্থাপনের ৯৬ ঘন্টা না কাটা অবধি দিলীচাদ বিপদ মুক্ত নয়। সোমবার ফর্টিস হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানালেন ডঃ তাপস রায়চৌধুরি। তিনি বলেন, সারা রাজ্যের মানুষ এখন চাইছেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন দিলচাদ সিং। তবে সুস্থ হওয়ার পর প্রায় তার ২০ হাজার টাকা শুধু ওষুধ খরচ হবে প্রতি মাসে। সবার পক্ষে এত টাকা ওষুধের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। এর জন্য রাজ্য সরকার যদি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে খুবই উপকার হবে। ডাক্তারদের দলে ছিলেন ডঃ কে এম মন্দনা, ডঃ তাপস রায়চৌধুর, ডঃ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ সুরেষ রায় ও ডঃ কে আর বালা কৃষ্ণন।
তিনি আরও বলেন, দীলচাদ সিং জন্মগত একটি হার্টের সমস্যায় ফটিস হাসপাতালে ভর্তি হন। হার্টটি সবুজ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। তার পাম্পিং ক্ষমতাও কমতে থাকে। ডাইলেটিভ কাডিও নার্ভ এর সমস্যা দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে ফ্লাইটে করে নিয়ে আসা হয় হার্টটিকে। কলকাতায় এসে পৌছয় ১০ টা ৪০ নাগাদ। ডাক্তাররা হার্টটা হাতে পান ১১ টা ১০ নাগাদ। অস্ত্রপচারে সময় লেগেছে ৪০ মিনিট। মুলত, এদিন কলকাতায় একটা ইতিহাস তৈরি হল। ডাক্তাররা জানান, আমাদের রাজ্যে প্রথম হার্ট প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে আমাদের হার্ট একটা অন্য রাজ্য থেকে নিয়ে আসতে হল। এটা সমস্ত ডাক্তাদের কাছে লজ্জাজনক বিষয়। আমাদের রাজ্যে প্রায় ৩৫ হাজার হার্ট ফেলিয়র রুগির হার্ট প্রতিস্থাপন দরকার। তার মধ্যে মাত্র ১ টি হার্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে আমাদের রাজ্যে হার্ট প্রতিস্থাপন এর জন্য সচেতনতা দরকার। তা হলে রাজ্যে হার্ট প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়বে।
জানা গিয়েছে, দিলচাদ সিং এর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে এখন ৩ থেকে ৪ দিন না গেলে কিছুই জানা যাবে না। তবে কলকাতার এই সাফল্যে শান্তির বাতাবরণ সারা রাজ্য জুড়ে।
Be the first to comment