ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক কলকাতার মেয়রের, খোলা হল কন্ট্রোল রুম

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-

বৃহস্পতিবার বাংলা- ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। যার জেরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা শহর কলকাতায়। সোমবার কলকাতা পুরসভায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিকাশি দফতরের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংও। আজ, মঙ্গলবার ফের একবার কলকাতার ষোলোটি বরোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মেয়র পারিষদ।

দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে সবে। শুরু হয়েছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। এখনও শহরের একাধিক জায়গায় পুজোর প্যান্ডেল খোলা হয়নি। রয়েছে বিজ্ঞাপনের ব্যানার। এমতাবস্থায় শহরের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলে কী হবে? দুর্ঘটনা ঠেকাতে এদিন একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। ঝড়ের জন্য কলকাতা পুরসভা কন্ট্রোল রুম খুলেছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০৩৩) ২২৮৬-১২১২ এবং (০৩৩) ২২৮৬-১৩১৩। এখনও শহরের একাধিক জায়গায় প্যান্ডেলের বাঁশের কাঠামো খোলা হয়নি। দ্রুত তা খোলার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভার আধিকারিকরা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কলকাতায় ৬০/৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেলে এই ধরনের বাঁশের কাঠামো পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নজর দেওয়া হচ্ছে শহরের একাধিক বড় হোর্ডিংয়ের দিকেও। শহরের সমস্ত ব্যানার, হোর্ডিং খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। জোরে হাওয়া বইলে খুলতে পড়তে পারে, এমন হোর্ডিং সরিয়ে ফেলা হবে আজ মঙ্গলবারের মধ্যেই। নির্দেশ গিয়েছে বিল্ডিং বিভাগেও। শহরাঞ্চলের নিচু এলাকায় বস্তিতে থাকেন, এমন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকেও বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরে তৈরি হয়েছে ডিজাস্টার রেসপন্স টিম। সেখানে কলকাতা পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ছাড়াও থাকবেন এনডিআরএফ বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স আর স্টেট এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা রুখতে পুর বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ইঞ্জিনিয়ারেরা বিভিন্ন বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করে দেখবেন, কোথাও খোলা তার রয়েছে কিনা বা ফিডার বক্সে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা। ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সময়ে ১৬টি বরোর প্রতিটিতে পুরসভার বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা সিইএসসি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন।
ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়, গাঙ্গেয় তীরবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়ও। মেয়র পারিষদ তারক সিং এদিন জানিয়েছেন, জোয়ারের কারণে দিনে দু’বার লকগেট বন্ধ থাকে। সে সময় অতিভারী বৃষ্টি হলে জল জমবেই। তবে দ্রুত সেই জল নেমে যাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*