যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে এবং বেপোয়ারা বাসে বলি রুখতে নয়া অ্যাপস রাজ্যের, বিদেশের আদলে বাস প্রতীক্ষালয় তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি,কলকাতা(এক্সক্লুসিভ):- এবার থেকে সরকারি – বেসরকারি বাসের গতিবিধি যাত্রীদের হাতের মুঠোয় আনতে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্যের পরিবহন দফতর। অন্যদিকে শহরের বাস স্ট্যান্ডগুলিকে আরও সৌন্দর্যয়ান করতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলো কলকাতা পুরসভা। এর পাশাপশি বেপরোয়া গতির বলি রুখতে আনা হচ্ছে নয়া অ্যাপস। যার মাধ্যমে সমস্ত বাস এবং বাস চালকদের উপর নজরদারি চালাবে পুলিশ এবং বাস মালিকরা।

কয়েকবছর আগে রাজ্যের পরিবহন দফতর ‘পথদিশা’ নামে একটি অ্যাপস আনে যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে। যেখানে কোন বাস কোথায় আছে, কখন আসবে সবটা দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে সেই অ্যাপসটি কার্যত দিশা হারিয়েছে। তাই এবার নতুনভাবে আরও উন্নতমানের অ্যাপস আনতে চলেছে রাজ্য পরিবহন দফতর। যেটি ইতিম্যেই বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দফতর। যদিও এখনই এই অ্যাপসটির নাম নির্ধারণ করা হয় নি। তবে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান “দু-এক মাসের মধ্যেই এই অ্যাপস চালু হয়ে যাবে।” এদিন পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, “এই অ্যাপসের পাশাপাশি বাসের বেপরোয়া গতির বলি রুখতে আনা হচ্ছে আরও একটি অ্যাপস। যার মাধ্যমে বাসের গতিবিধি এবং বাস চালকদের উপরও নজরদারি চালাতে পারবে পুলিশ-সহ বাসের মালিক স্বয়ং।” এদিন তিনি আরও বলেন, “বাস চালকরা যদি বেপোয়ারা গাড়ি চালায়, তাঁদের দু-তিন বার সতর্ক করার পরও না শোনেন সেক্ষেত্রে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।” যদিও এটি প্রাথমিক ভাবে কলকাতা বিমান বন্দর কেন্দ্রিক ১২টি বাসরুটের উপর কার্যকর করা হবে। তারপর আসতে আসতে রাজ্য জুড়ে সমস্ত সরকারি – বেসরকারি বাসরুটে চালু হবে এই জিপিএস সিস্টেম অ্যাপসটি।
অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে এবার বিদেশের আদলে শহরজুড়ে তৈরি হতে চলেছে বাস প্রতিক্ষালয়। যেখানে এলইডি ডিসপ্লেবোর্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যাওয়ার বাসের সময়, বাসটি কোথায় আছে, পরের বাসটি কতক্ষণ পর আসবে সমস্ত তথ্য দেখতে পারবে। এদিন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাস স্ট্যান্ডগুলিকে সৌন্দর্যয়ান ও আধুনিকীকরণের পাশাপাশি যেখানে বাস স্ট্যান্ডগুলির শেঠ ভেঙে গেছে বা বাস স্ট্যান্ডগুলি ভেঙে গেছে সেগুলিও নতুনভাবে তৈরি করা হবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*