দানা’র মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুত থাকছে কলকাতা পুরসভা, খোলা হল কন্ট্রোলরুম

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-

ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব থেকে বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গ। খাস কলকাতায় ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। লাগাতার দু’দিন বৃষ্টি বা ঝড় হলে কীভাবে নাগরিকদের নিরাপদ রাখা হবে, সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। প্রতিটি বোরো দফতরে মোতায়েন হয়েছে গ্যাং। হাই মাস্ট লাইট বা সুউচ্চ বাতিস্তম্ভ থেকে আলো নামানো, পোর্টেবল পাম্প বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো, প্যান্ডেল ও হোর্ডিং-ব্যানার খোলায় তৎপর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা কলকাতায়। প্রবল বেগে বইতে পারে বাতাস। বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড়ে সুউচ্চ বাতিস্তম্ভ নামিয়ে ফেলার কাজ চলছে। অন্যদিকে পুজো মিটলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁশের কাঠামোয় গেট বা হোর্ডিং যেমনকার তেমন রয়ে গিয়েছে। সেগুলো ক্লাব কর্তৃপক্ষকে খুলে নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, পুরনিগমের দল নামছে রাস্তায়। ঝুঁকিপ্রবণ সমস্ত এলাকায় হোর্ডিং খুলে দেওয়ার কাজ করবে তারা।
পাশাপাশি কলকাতা পুরনিগমের বোরো অফিসের তরফে বিপজ্জনক বাড়িগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। তাদের আবেদন করা হয়েছে, ঝড় বৃষ্টির দুটো দিন যেন তাঁরা অস্থায়ী শিবির ও এলাকার স্কুল বাড়িগুলিতে আশ্রয় নেন। ঝড়-জল থামলে ফের বাড়িতে ফিরে আসবেন সকলে।
কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হলে দীর্ঘ সময় জল জমা এড়ানোর দিকে বিশেষভাবে নজর রাখছে কলকাতা পুরনিগম। দ্রুত জল নামানোর জন্য ৮১টা স্টেশনে ৪৫২টি পাম্প চালু থাকবে। এছাড়াও অতিরিক্ত জল জমে এমন ২৮৬টি জায়গায় পোর্টেবল পাম্প মোতায়েন রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে আলোক বিভাগের তরফে বিদ্যুতের খোলা তারগুলির বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। পুজোর আগে তিলোত্তমার রাস্তায় গাছের ডাল ছাঁটা হয়েছে। তবু প্রতি বোরোতেই থাকছে উদ্যান বিভাগের একটি করে টিম গাছ পড়ে রাস্তা যাতে বন্ধ না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখবে তারা৷
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম থেকে ঝড়ের আগে পরে পুরো কর্মকাণ্ডে নজরদারি চালানো হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ও বাকি মেয়র পারিষদ সদস্য থাকবেন কন্ট্রোলরুমে। প্রতি মুহূর্তে নজর থাকবে আমাদের। নিকাশি, আলো, উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকরা তৎপর থাকবেন।”
তাঁর কথায়, “আমাদের সিইএসসি’র সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ তাদের বেশ কয়টি ছোট ছোট টিম কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থাকবে। ঝড়-জল চলাকালীন নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যাতে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বের হন। আমাদের কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। কোথাও কোনও নাগরিক এই দুর্যোগের জেরে বিপদে পড়লে যোগাযোগ করবেন। পুরনিগমের তরফে তাঁকে উদ্ধারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*