এবার করোনা আক্রান্ত এক পুলিশ কর্মী৷ ছুটিতে থাকাকালীন তার উপসর্গ দেখা দেয়৷ আক্রান্ত পুলিশ কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে এম আর বাঙুর হাসপাতালে৷ পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে৷ বড়তলা থানায় কর্মরত ওই পুলিশ কর্মী নারকেলডাঙা এলাকায় আবাসনে থাকতেন। ছুটিতে থাকাকালীন উপসর্গ দেখা দেয়।করোনা আক্রান্ত পুলিশ কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল৷ তিনি বড়তলা থানায় কর্মরত৷ থাকেন নারকেলডাঙা এলাকায় একটি আবাসনে৷ এই প্রথম রাজ্যের কোনও পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন৷ জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন৷ ওই সমস্যা নিয়েই তাকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে৷ এরপরই তার শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ লক্ষ্য করেন চিকিৎসরা৷ তড়িঘড়ি তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য৷
রিপোর্ট আসলে জানা যায়, পুলিশ কর্মীকে শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাস করোনা৷ এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর,পুলিশকর্মীর করোনা ছাড়াও একাধিক সমস্যা রয়েছে৷ স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আক্রান্ত পুলিশকর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই তার গোটা পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে৷ তবে যেহেতু তিনি ছুটিতে ছিলেন,সেই কারণে তার থেকে অন্য পুলিশ কর্মীদের সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই৷ এছাড়া শহরে আক্রান্ত এক অর্থোপেডিক সার্জেন।
তাকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিং হোমের ওই বর্ষীয়ান চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এরপরই তাকে সল্টলেকের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেসরকারি হাসপাতালের ওই খ্যাতনামা অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কোনও করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করেছিলেন কি না, তারও খোঁজ নিচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। যেহেতু তিনি গত কয়েক দিনে রোগী দেখেছেন এবং ওই হাসপাতালেও এসেছিলেন, তাই তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের একটি তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
Be the first to comment