কলকাতার দূষণ এখন মাথাব্যথার কারণ। দূষণের মাত্রা কমাতে শহুরে অরণ্যের ভাবনা নতুন মেয়রের। পোর্ট ট্রাস্ট ও রেলের অতিরিক্ত জমিতে আরবান ফরেস্ট্রির পরিকল্পনা পুরসভার। সেজন্য দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। শহরে কত গাছ আছে জানতে ট্রি সেনসাসেরও ভাবনা রয়েছে পুরসভার। দায়িত্ব নিয়েই শহরের দূষণ কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গাছ লাগালেই সম্পত্তিকরে নব্বই শতাংশ ছাড়। প্রথম দিনেই ছক্কা হাকিয়েছিলেন নতুন মেয়র। এবার তাঁর নজরে পোর্ট ট্রাস্ট ও রেলের অতিরিক্ত জমি। বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হয় না এমন জমিতে আরবান ফরেস্ট্রি বা শহুরে অরণ্য তৈরির ভাবনা ফিরহাদ হাকিমের। শহর বা শহরের বাইরেও পোর্ট ট্রাস্ট ও রেলের বেশ কিছু জমি রয়েছে। আগাছা সাফ করে সেখানে বড় গাছ লাগানোর ভাবনা মেয়রের। জমির খোঁজ চলছে রাজ্যের ল্যান্ডব্যাঙ্কেও। পুরসভার হাতে থাকা অব্যবহৃত জমির খবরও নিচ্ছেন মেয়র। তথ্য দিতে বলা হয়েছে ভূমি দফতরকে। মেয়রের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুষণ রোধে সবুজায়নে সহযোগিতা করতে রাজি রেলও। কলকাতা এখন কংক্রিটের জঙ্গল। ইট- িসমেন্ট-বালির হাঁসফাঁসে বাড়ছে দূষণ। মেয়রের লক্ষ্য, সবুজের আরামে দূষণের বিষ মুছে যাক। গাছ সমীক্ষার ভাবনাও রয়েছে কলকাতা পুরসভার। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কত গাছ, তাদের বয়স, গোত্র জানতেই সেনসাসের ভাবনা। হুগলির কোন্নগর পুরসভা রাজ্যে প্রথম ট্রি সেনসাস করেছে। এবার পালা কলকাতার।
Be the first to comment