ভারতে দূষণ বললেই এতদিন সবচেয়ে আগে নাম আসত দিল্লির ৷ কিন্তু হঠাৎই নভেম্বর থেকে দিল্লিকে দূষণে পিছনে ফেলে দিচ্ছে কলকাতা ৷ এবার শুধু দেশেই নয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহরগুলির মধ্যেও একদম ওপরের দিকে চলে এসেছে কলকাতা ৷
নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দিচ্ছে কলকাতা। তৈরি হচ্ছে একের পর এক নতুন রেকর্ড। আর নিজেদের অজান্তেই তার শিকার হচ্ছেন শহরবাসী। ডিসেম্বর মাসে দূষণে দুনিয়ার প্রথম তিনে চলে এসেছে কলকাতা। কয়েক ঘণ্টার জন্য সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকাতেও চলে এসেছিল শহরের কয়েকটি এলাকা।
একবারে ৩২টা কিং সাইজ সিগারেট খেতে পারবেন কী আপনি? যদি পারেন, সিটি অফ জয়ে আপনি বেঁচে থাকতেও পারেন। আর যদি না পারেন, কলকাতা আপনার জন্য নয়। চলতি মাসেই শহর কলকাতার দূষণ মাত্রা এতটাই। প্রতিদিন একটানা ৩২টা সিগারেট খাওয়ার মতোই দূষণে বুক ভরছে কলকাতাাবাসীর। বাতাসে দু-ধরনের ক্ষতিকারক ভাসমান ধূলিকণা থাকে ৷ একটি পিএম ২.৫ ও অন্যটি পিএম ১০ নামে পরিচিত ৷
ডিজেল গাড়ি থেকে তৈরি হয় পিএম ২.৫। সাধারণভাবে বাতাসে এর পরিমাণ থাকা উচিত প্রতি ঘনমিটারে ৬০ মিলিগ্রাম। দেখে নেব, ডিসেম্বরে কলকাতার অবস্থা ঠিক কেমন? দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের লাগানো পলিউশন মেজারমেন্ট বোর্ডে ধরা পড়েছে এই তথ্য। এই সময় বেজিং, সাংহাই, করাচি কিংবা কান্দাহারের মতো শহরেও দূষণ অনেক কম ছিল। অপেক্ষাকৃত বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ এর ক্ষেত্রেও অবস্থা ততটাই আশঙ্কাজনক।
মূলত আবর্জনা থেকে এই ধূলিকণা তৈরি হয়। এই মাপগুলি এতটাই বেশি যে সহ্যমাত্রার তুলনায় ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি হয়ে যাচ্ছে দূষণের মাত্রা।
খোলা জায়গার অভাব, ডিজেল গাড়ি থেকে দূষণ, রাস্তায় উনুন জ্বালানো, আবর্জনা স্তূপ থেকে বা আবাসন তৈরির সময় দূষণ – আশঙ্কার তালিকা আরও অনেক লম্বা। এই মারাত্মক দূষণ থেকে বাঁচার জন্য এখনই কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না পরিবেশবিদরাও ৷
Be the first to comment