পুজো শুরুর এক মাস আগেই কলকাতা শহর মাতবে দুর্গোৎসবের মৌতাতে। বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার শহরে বিশাল মিছিলের আয়োজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর বারোটার পর থেকে বিকেল পর্ষন্ত মিছিল বুঝে কলকাতার বেশকিছু রাস্তায় যান চলাচল ও পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে এক ঝলকে দেখে নিন, কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। কোন রাস্তা দিয়ে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।
বৃহস্পতিবার মিছিল শুরু হবে গিরিশ পার্ক থেকে। মূলত সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে যাবে মিছিল। মিছিল পৌঁছবে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। রেড রোডে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মিছিলের জন্য সমস্ত রাস্তায় যান চলাচল এবং পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেগুলি হল- ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ (পশ্চিমমুখী), যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিবেকানন্দ রোড, কালীকৃষ্ণ টেগোর স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, রাণী রাসমনি অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহরু রোড, ডাফরিন রোড, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, নিউ রোড, এসপ্ল্যানেড র্যাম্প, এসপ্ল্যানেড রোড (ইস্ট)।
- সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দক্ষিণমুখী রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
- সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উত্তরমুখী রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে। মিছিলের প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য আংশিকভাবে ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
- উত্তর ও মধ্য কলকাতায় এজেসি বোস রোড, এপিসি রোড, স্ট্র্যান্ড রোড ধরে যাতায়াত করতে পারে যানবাহন।
- পূর্ব কলকাতা থেকে এজেসি বোস রোড, শেক্সপিয়র সরণি ধরে কুইন্সওয়ে, স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে যাওয়া যাবে হাওড়ায়।
- বৃহস্পতিবার যখনই প্রয়োজন ও রাত সাড়ে বারোটা থেকে শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রেড রোডে বন্ধ থাকবে যান চলাচল।
- আপদকালীন ছাড়া শহরে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সবরকম মালবাহী গাড়ি চলাচল।
- নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামছে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ।
- মিছিল ও রেড রোডের নিরাপত্তায় থাকছেন ৪০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, পর্যাপ্ত সংখ্যক ইন্সপেক্টর ও অন্য পদমর্যাদার আধিকারিকরাও।
- গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত থাকছে ৫৫টি পুলিশ পিকেট।
- রাস্তা ও কন্ট্রোলরুমে থাকছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশকর্তারা।
Be the first to comment