রিপোর্টার- মাসানুর রহমান
ছবি- প্রশান্ত দাস
অসমে জঙ্গি হামলায় নিহত ৫ বাঙালি, পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল সন্ধে ৭টা নাগাদ তিনসুকিয়ার বিসনোইমুখ গ্রামে ঢুকে হামলা চালায় জঙ্গিরা সেখানে গুলি করে খুন করা হয় নিরীহ গ্রামবাসীদের। গতকালই তীব্র নিন্দা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ মিছিল হয় যাদবপুর থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত। এই মিছিলে রাজ্যের অনেক শীর্ষ স্থানীয় নেতা, সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়ক। সকলে কালো পতাকা হাতে মুখে কালো কাপড় বেধে এই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। সঙ্গে ছিল অগণিত সাধারন মানুষ।
এদিন অসমের গণহত্যার সঙ্গে নেতাই, নন্দীগ্রামের ঘটনার তুলনা করেন অভিষেক। যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হওয়ার পর সংক্ষিপ্ত সভায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “সিপিএমের নেতাই, নন্দীগ্রামও লজ্জা পাবে অসমের ঘটনা দেখে। ” এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের সময় থেকেই বলেছিলেন বিজেপি ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান চালাচ্ছে। এ দিন অভিষেক বলেন, “লড়াইটা আর তৃণমূল বনাম বিজেপি-র লড়াই নেই। এখন লড়াইটা বাঙালির সম্মানের সঙ্গে বিজেপির জবরদখলের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।” উত্তর কলকাতায় অন্য একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও, হাজরা মোড়ের সভা থেকে যুব তৃণমূল সভাপতি সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি নিয়েও কেন্দ্রের শাসক দল এবং প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। বলেন, “দু’টাকা কিলো চালের জন্য, রাস্তা তৈরির জন্য, স্মার্ট সিটি গড়ার জন্য কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আর তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে বল্লভভাই পটেলের মূর্তি বানাচ্ছে। একদিকে তিনহাজার কোটির মূর্তি আর আর অন্য দিকে বাঙালি মেরে ফূর্তি।” অসমের গণহত্যার ঘটনায় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়ালের পদত্যাগ দাবি করেন তরুণ এই সাংসদ।
পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বরে গেরুয়াবাহিনীর সেই রথযাত্রাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, “নেত্রী যদি নির্দেশ দেন, তাহলে ওই রথের চাকাও থাকবে না, দড়িও থাকবে না।”
Be the first to comment