অমৃতা ঘোষ:-
বাংলায় মাতৃ শক্তির আরাধনা মানেই মা দুর্গার পূজা, যা এক সুবিশাল আকারে পালিত হয়। বলাই চলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।
কিন্তু এই বার আরজি করের পাশবিক ধর্ষণ ও হত্যার জেরে সমস্ত বাংলা তথা গোটা দেশ রুখে দাঁড়িয়েছে অন্যারের প্রতিবাদ জানাতে। সুবিচার চাইতে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলায় অনেক পূজা কমিটি গুলি দুর্গা পূজার জন্য সরকারের অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। কারণ সকলের একটাই মত একটাই সুর ‘we want justice’…
যখন চারিদিকে শুধু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সকলে শ্লোগান দিচ্ছে, ধনী – গরীব নির্বিশেষে সকল জাতি একত্রিত হয়েছে তাহলে তাঁরাই বা বাদ যাবেন কেন? নিছক যৌণ পল্লির মানুষ বলে? না.. এ লড়াই যেন তাঁদেরও তাঁরা সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন।
মা দুর্গার বিগ্রহ তৈরিতে লাগে যৌণ পল্লির মাটি। পুরাণে কথিত আছে মা দুর্গার বিগ্রহ তৈরিতে এমন জায়গার মাটি লাগে যেখানে সকলের প্রবেশ নিষেধ। আর এই কারণেই কলকাতায় মায়ের মূর্তি তৈরিতে যৌণ পল্লির মাটি দেওয়া হয়। আর তা না পেলে মায়ের মূর্তি তৈরি হবে না।
কেনো এই কারণ ? পুরাণে আছে , এক যৌণ কর্মী মা দুর্গার অতিব ভক্ত ছিলেন। কিন্তু যৌণ কর্মী হওয়ার কারনে তাকে অনেক ভাবে সমাজের তিরষ্কার সহ্য করতে হয়। তখন মা দুর্গা তার ভক্তিতে খুবই প্রসন্ন হন এবং মা আশীর্বাদ করেন যে যৌণ পল্লির মাটি ছাড়া কখনও তাঁর পূজা গ্রহন যোগ্য হবে না। সেই অনুযায়ী প্রায় ২০০ বছরের ওপর হতে গেলো এখনো সেই প্রথা মেনেই মাতৃ শক্তির পূজা ও আরাধনা করা হয়।
প্রতি বছর মায়ের মূর্তি গড়ার আগে কলকাতা রেড লাইট এরিয়া তথা যৌণ পল্লির মাটি ক্রয় করে আনতে হয় যা দিয়ে মায়ের বিগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ধর্ষণ ও হত্যার কারণে এবার যৌণ কর্মী রাও এবিষয়ে সরব হয়েছেন। বিচার না পাওয়া গেলে কোনো ভাবেই তাঁরা পূজার জন্য মাটি দেবেন না। তাতে পূজা বন্ধ হলেও হতে পারে।তাঁদেরও একটাই মত justice for RG kar..
Be the first to comment